শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১৩ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
হোয়াইক্যং ইউপির ঝিমংখালীতে তুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে হামলা: নারী সহ আহত-৫ খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন, ‘অল্প সময়ে সিদ্ধান্ত: বললেন আইনমন্ত্রী কঠিন সময় পাড়ি দেওয়ার ক্ষমতা আ.লীগের আছে: ওবায়দুল কাদের মার্কিন ভিসানীতি-নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না আ.লীগ: ওবায়দুল কাদের ভিসার বিধিনিষেধ আরোপের ঘটনা বাংলাদেশের জন্য ‘অপমানজনক ও লজ্জাজনক: ফখরুল আমার ছেলে ওখানে আছে: সম্পদ বাজেয়াপ্ত করলে করবে, তাতে কিছু আসে যায় না: প্রধানমন্ত্রী পল্টনে ব্যাংকে ঢুকে ২০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ২ পুলিশ কনস্টেবলসহ গ্রেপ্তার ৫ খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে আগের দুটি শর্তেই মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হলো পদে পদে হারুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ: মঙ্গলবার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি দিতে পারে বিএনপি
মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর এক মাসে ১,৫৬২ সৈন্য নিহত

মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর এক মাসে ১,৫৬২ সৈন্য নিহত

মিয়ানমারের সামরিক জান্তার নিয়ন্ত্রণে থাকা সামরিক বাহিনীর সাথে দেশটির জান্তাবিরোধী বিদ্রোহীদের গত এক মাসের যুদ্ধে এক হাজার পাঁচ শ’ ৬২ সৈন্য হারিয়েছে জান্তা সরকার।

শুক্রবার মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী জাতীয় ঐক্য সরকারের (এনইউজি) স্বরাষ্ট্র ও অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক দেয় এনইউজি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত সামরিক ও প্রশাসনিক লক্ষ্যবস্তুতে মোট নয় শ’ ৫৩টি হামলা করা হয়। নৃতাত্ত্বিক ক্ষুদ্র গোষ্ঠীভুক্ত বিদ্রোহী দল ও বেসামরিক প্রতিরোধ যোদ্ধাদের এই হামলায় এক হাজার পাঁচ শ’ ৬২ সৈন্য নিহত এবং পাঁচ শ’ ৫২ সৈন্য আহত হয়।

এদিকে মিয়ানমারের জান্তা মুখপাত্র মেজর জেনারেল ঝাও মিন তুন বলেন, এনইউজির ঘোষণার পর থেকে জান্তা বাহিনীর ওপর আক্রমণ বেড়ে গিয়েছে। তবে জান্তাবিরোধী বিদ্রোহীদের আক্রমণে মোট কত সৈন্য নিহত হয়েছে, তার কোনো পরিসংখ্যান জানাননি তিনি।

১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী তাতমাদাও দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থান ঘটায় এবং প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিসহ রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার করে। সাথে সাথে দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। পরে ১ আগস্ট জরুরি অবস্থার মেয়াদ ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেন জান্তা প্রধান জেনারেল মিন অং লাইং।

গত বছরের নভেম্বরে দেশটিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিতর্কের জেরে এই অভ্যুত্থান ঘটায় সামরিক বাহিনী।

সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরেই বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা অং সান সু চিসহ বন্দী রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির পাশাপাশি সামরিক শাসন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছেন। শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হওয়া অহিংস বিক্ষোভকে সামরিক উপায়ে জান্তা সরকার দমন করতে গেলে বিক্ষোভকারীরাও বিভিন্ন স্থানে অস্ত্র হাতে নেয়।

গত ৭ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট দেশের সাধারণ মানুষকে সামরিক জান্তার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা দেয়।

এদিকে মিয়ানমারের অবস্থা পর্যব্ক্ষেণকারী থাইল্যান্ডভিত্তিক সংস্থা অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস (এএপিপি) জানিয়েছে, ১ ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে শুক্রবার পর্যন্ত দেশটিতে বিক্ষোভে সামরিক জান্তার দমন অভিযানে অন্তত এক হাজার এক শ ৬০ জন নিহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিক্ষোভ সংশ্লিষ্টতায় সামরিক জান্তার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আট হাজার আট শ’ ১৭ জন। বর্তমানে বন্দী রয়েছেন সাত হাজার এক শ’ ৪৬ জন। এছাড়া গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে আরো এক হাজার নয় শ’ ৮৯ জনের নামে।

সূত্র : ইরাবতি

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design By Rana