রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন
মে মাসের মাঝামাঝিতে সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন ভবনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্র্যাসির (আরএফইডি) নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
সিইসি বলেন, ‘চতুর্থ ধাপের পৌর ভোট ১৪ ফেব্রুয়ারি আর পঞ্চম ধাপের ভোট ২৮ ফেব্রুয়ারি। ৭ এপ্রিল আরেকটি পৌরসভা নির্বাচন হবে, একই সঙ্গে কিছু ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। এরপর রমজান মাসে নির্বাচন হবে না। মার্চ মাসেও কোনো নির্বাচন হবে না। এক মাস আমাদের ছুটিতে যেতে হবে। কারণ আমাদের ভোটার লিস্ট তৈরি করা, সেটা চূড়ান্ত করা, তালিকার সিডি করে প্রার্থীদের দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এবার কয়েকজন ভুয়া ভোট দেওয়ার চেষ্টা করেছিল তাদের সঙ্গে সঙ্গে ধরে ফেলেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। কারণ সিডি চেক করলে সঙ্গে সঙ্গে তার ছবিসহ সব দেখা যায়। তাই সিডির কাজের জন্য মার্চে নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। এপ্রিলে একটা নির্বাচন করব তারপর রমজানের ঈদের পর বাকি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনগুলো শুরু হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, যে সংঘাত হয়েছে তা কাম্য নয়। ইসির পক্ষ থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ থাকে, কিন্তু একটা ঘটনা ঘটে গেলে তো কিছু করার থাকে না। প্রচুর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য থাকে, ম্যাজিস্ট্রেট থাকে। তারপরও কিছু কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে যায়। প্রার্থী ও প্রার্থীদের সমর্থকদের সহনশীল থাকতে হবে, আর আমাদের প্রচেষ্টা তো আছেই।
সিইসি বলেন, প্রতিটি জায়গায় র্যাব, বিজিবি ও আনসার আছে। প্রত্যেকটা কেন্দ্রে ১২ থেকে ১৮ জন আর্মড পুলিশ এবং আনসার নিয়োজিত থাকবে। তারা আরও সুষ্ঠুভাবে তদারকি করবে। আগামী ১৪ তারিখ যে নির্বাচন আছে সেগুলো তারা মনিটর করবে। কোনো জায়গায় খারাপ খবর পেলে কমিশনাররা কথা বলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন।
Leave a Reply