শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২১ পূর্বাহ্ন
মোচনীয় নয়াপাড়া ক্যাম্পে পুতিয়া গ্রুপের দায়ের কুপে আহত-৩
নিজস্ব প্রতিবেদক::
টেকনাফ উপজেলার নয়াপাড়া রেজিষ্টার্ড ক্যাম্পের “পুতিয়া গ্রুপের” এক সক্রিয় সদস্য’র এলোপাতাড়ি দায়ের কুপে মন্জুরুল আলম(১৯) মোহাম্মদ আলম(২৯) গুরুতর আহত হয়েছে। আহত দুই সহোদর এইচ ব্লকের ছৈয়দ আলমের পুত্র। একই সাথে হাফেজ আহমদের ছেলে ছৈয়দুল আমিন(১৭) কে ও বেদম প্রহার করেছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে অদ্য ৩রা মার্চ বিকাল সাড়ে ৩টায় নয়াপাড়া মোচনীয় রেজিষ্টার্ড ক্যাম্পের প্রধান সড়কে।
স্থানিয় প্রশাসন ও ক্যাম্পের একাধিক সূত্রে জানা যায়, দুপুরে ক্যাম্পের এইচ ব্লকের বাসিন্দা ১৮ বছরের যুবক মন্জুর আলম কলসি নিয়ে পানি আনার সময় পুতিয়া গ্রুপের সদস্য’র ভাবি ইয়াছমিনের গায়ে পানি পড়ে। অপর এক প্রত্যক্ষদর্শি জানায়,পানি ভর্তি কলসি ইয়াছমিনের গায়ে লাগে। সাথে সাথে উক্ত ইয়াছমিন মন্জুর আলম কে গেন্জির কলার ধরে তাপ্পড় দেয়। খবর পেয়ে ইয়াছমিনের দেবর লম্বা দা নিয়ে মন্জুরের উপর ছড়াও হয়। এক পর্যায়ে মন্জুর ও তার অপর ভাই মোহাম্মদ আলম কে দা দিয়ে কুপিয়ে মাঠিতে ফেলে দেয়। আহতদের দেখতে আসা ছৈয়দ আমিন(নাতি) কে ব্যাপক মারধর করে। গুরুতর আহত ৩ জন কে আরএইচইউর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তারা প্রতিপক্ষের গায়ে দোষ চাপাতে ইয়াছমিন কে ও হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় উক্ত সন্ত্রাসীরা আবারো ছৈয়দ আলমের পরিবারের উপর আক্রমনের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্চে । ফলে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে। এই সন্ত্রাসী পুতিয়া বাহিনীর সিন্ডিকেট এলাকার নিরীহ রোহিঙ্গার উপর বার্মার মগ সরকারের চেয়ে ও বেশী জুলুম অত্যাচার চালাচ্ছে।
তাদের কে দ্রুত আইনের আওতায় আনা না গেলে ক্যাম্পে খুনখারাবি বাড়বে। উত্তপ্ত হয়ে উঠবে ক্যাম্পের পরিস্থিতি। উল্লেখ্য যে,
টেকনাফের নয়াপাড়া ও শালবাগান ক্যাম্পের মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও মুক্তিপণ বাণিজ্য, সংঘবদ্ধ গ্রুপের অস্ত্রবাজিসহ এখন নানা অপকর্মে আতংকের নাম পুতিয়া গ্রুপ। এই গ্রুপের কারণে সাধারণ রোহিঙ্গারা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছেনা।
পুতিয়া গ্রুপের সদস্যদের চলাফেরা অনেকটা রাজার মতো! তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে সাধারণ রোহিঙ্গারা একেবারেই জিম্মি। তাদের কে আইনের আওতায় আনার দাবী আম রোহিঙ্গার।#
Leave a Reply