বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:০৫ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
টেকনাফে অস্ত্র দিয়ে যুবককে ফাঁসানোর প্রতিবাদে রাস্তায় নামলেন ছাত্র-জনতা পুলিশে ৩৬০০ কনস্টেবল নিয়োগ, আবেদন ফি ৪০ টাকা শিক্ষা কমিশনে নাস্তিকদের সরিয়ে ইসলামি শিক্ষাবিদ ও আলেমদেরকে দিতে হবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৫৮১ জন শহীদ হয়েছে : স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ কমিটি মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন আরও ৮৫ বাংলাদেশি বিদ্রোহীদের দখলে মিয়ানমারের বড় এলাকা, ক্ষমতাচ্যুতের পথে জান্তা? টেকনাফ কে সন্ত্রাস মুক্ত শান্তির শহর বানাবো- শাহজাহান চৌধুরী কোস্ট ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত হোয়াইক্যং আলিয়া আছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নারী ফুটবল প্রীতি ম্যাচ সম্পন্ন সেনাবাহিনীর হাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব: ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা যা যা করতে পারবেন এখন স্বাধীন দেশে বসবাস করছি: আগে স্বাধীন ছিলাম না : পীর সাহেব চরমোনাই
যুদ্ধবিরতি চায় ‘ক্লান্ত’ আর্মেনিয়া

যুদ্ধবিরতি চায় ‘ক্লান্ত’ আর্মেনিয়া

পূর্ব ইউরোপে দক্ষিণ ককেশাসের বিরোধপূর্ণ এলাকা নাগোর্নো-কারাবাখকে কেন্দ্র করে আজারবাইজানের সঙ্গে টানা ছয় দিনের যুদ্ধে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে খ্রিষ্টান অধ্যূষিত আর্মেনিয়া। শক্তির ভারসাম্যে টিকতে না পেরে যুদ্ধবিরতিতে যেতে চায় দেশটি।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ‘ফ্রান্স, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততার মাধ্যমে তারা যুদ্ধবিরতির দিকে যেতে প্রস্তুত।

পশ্চিমা পরাশক্তিগুলো ও রাশিয়ার আহ্বান সত্ত্বেও যুদ্ধ চালিয়ে যেতে মুসলিম দেশ আজারবাইজানের অনড় অবস্থানের পাশাপাশি যুদ্ধে আর্মেনিয়ার ১৫৮ জন সেনা সদস্য নিহত ও ব্যাপক সামরিক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার ঘটনাই যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করছে আর্মেনিয়াকে।

গেল ২৭ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে হঠাৎ শুরু হওয়া এই যুদ্ধে বড়ো বড়ো কামান, ট্যাঙ্ক, ক্ষেপণাস্ত্র এবং অত্যাধুনিক ড্রোন ব্যবহার করছে আজারবাইজান। যেসব ড্রোনের অধিকাংশই তুরস্কের সরবরাহ করা বলে দাবি আর্মেনিয়ার। এ সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত শতাধিক বেসামরিক নাগরিক এবং আর্মেনিয়ার কয়েক শ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। আজারবাইজানের সামরিক খাতে কতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে বাকুর পক্ষ থেকে এখনও কিছু বলা হয়নি।

যে জায়গাটির দখল নিয়ে দুটো দেশের মধ্যে যুদ্ধ চলছে, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর সেই কারাবাখ অঞ্চল আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী ও তাদের সমর্থনপুষ্ট মিলিশিয়ারা দখল করে নিয়েছিল। যদিও আন্তর্জাতিকভাবে এই এলাকাটি আজারবাইজানের হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু এটি পরিচালনা করে জাতিগত আর্মেনীয়রা। তবে, দুটো দেশই এই এলাকাটিকে তাদের নিজেদের অংশ বলে দাবি করে আসছে।

শুক্রবারের বিবৃতিতে আর্মেনিয়া বলছে, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আমরা যুদ্ধের ইতি টানতে চাই। তবে নাগোর্নো কারাবাগের বিরুদ্ধে যেকোন আগ্রাসনের কড়া জবাব দেবে আর্মেনিয়া।

গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সিরিয়া থেকে ‘জিহাদিস গ্রুপে’র ৩০০ জন যোদ্ধা তুরস্ক হয়ে আজারবাইজানে প্রবেশ করেছে। তারা সবাই তুরস্কের নির্দেশে আজারবাইজানেরন পক্ষে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে।

গণমাধ্যমের এমন খবরে ক্ষেপেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরণ। বৃহস্পতিবার এক বক্তব্য তিনি তুরস্ককে এই ঘটনার জন্য তীব্রভাবে তিরস্কার করে বলেছেন, ‘তুরস্ক বিপদ সীমা রেখা অতিক্রম করেছেন। ফ্রান্স এই ঘটনার ব্যাখ্যা তুরস্কের কাছে চায়।’ 

বৃহস্পতিবার একটি যুগ্ম আহ্বানে রাশিয়া, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বন্ধের জন্য উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে বসতে আহ্বান জানান। তবে সেই আহ্বানে কান দিতে নারাজ তুরস্ক সমর্থিত আজারবাইজান।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design By Rana