মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ০২:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার দাবীতে কক্সবাজার শহরে ইসলামী আন্দোলনের স্বাগত মিছিল কক্সবাজারে হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক ৩৬০০পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার-১ ইসলামী আন্দোলনের টেকনাফ উপজেলার উত্তর শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত টেকনাফে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ৪র্থ ধাপে ভুমি ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তরের বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং হোয়াইক্যং পুলিশের অভিযানে মাদক মামলার ৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী আটক কান্জরপাড়ায় জমির বিরোধ নিয়ে থানায় অভিযোগ দেয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত-১ হোয়াইক্যং কাটাখালীতে আলোর ছোঁয়া ফ্রেন্ডশিপ ক্লাবের উদ্যোগে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি সম্পন্ন প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল স্থগিতঃ ১ মার্চ পুনরায় প্রকাশ করা হবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার ‘মাদকপ্রবণ অঞ্চল’ ঘোষণা করা হলে কী হতে পারে? পালংখালী ফারিয়ার পিকনিকে চট্টগ্রাম বিভাগ ফারিয়া সভাপতি আবু সুফিয়ান সংবর্ধিত

যুদ্ধবিরতি চায় ‘ক্লান্ত’ আর্মেনিয়া

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২০, ১২.৫২ এএম
  • ৯৩৫ বার পঠিত

পূর্ব ইউরোপে দক্ষিণ ককেশাসের বিরোধপূর্ণ এলাকা নাগোর্নো-কারাবাখকে কেন্দ্র করে আজারবাইজানের সঙ্গে টানা ছয় দিনের যুদ্ধে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে খ্রিষ্টান অধ্যূষিত আর্মেনিয়া। শক্তির ভারসাম্যে টিকতে না পেরে যুদ্ধবিরতিতে যেতে চায় দেশটি।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ‘ফ্রান্স, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততার মাধ্যমে তারা যুদ্ধবিরতির দিকে যেতে প্রস্তুত।

পশ্চিমা পরাশক্তিগুলো ও রাশিয়ার আহ্বান সত্ত্বেও যুদ্ধ চালিয়ে যেতে মুসলিম দেশ আজারবাইজানের অনড় অবস্থানের পাশাপাশি যুদ্ধে আর্মেনিয়ার ১৫৮ জন সেনা সদস্য নিহত ও ব্যাপক সামরিক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার ঘটনাই যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করছে আর্মেনিয়াকে।

গেল ২৭ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে হঠাৎ শুরু হওয়া এই যুদ্ধে বড়ো বড়ো কামান, ট্যাঙ্ক, ক্ষেপণাস্ত্র এবং অত্যাধুনিক ড্রোন ব্যবহার করছে আজারবাইজান। যেসব ড্রোনের অধিকাংশই তুরস্কের সরবরাহ করা বলে দাবি আর্মেনিয়ার। এ সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত শতাধিক বেসামরিক নাগরিক এবং আর্মেনিয়ার কয়েক শ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। আজারবাইজানের সামরিক খাতে কতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে বাকুর পক্ষ থেকে এখনও কিছু বলা হয়নি।

যে জায়গাটির দখল নিয়ে দুটো দেশের মধ্যে যুদ্ধ চলছে, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর সেই কারাবাখ অঞ্চল আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী ও তাদের সমর্থনপুষ্ট মিলিশিয়ারা দখল করে নিয়েছিল। যদিও আন্তর্জাতিকভাবে এই এলাকাটি আজারবাইজানের হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু এটি পরিচালনা করে জাতিগত আর্মেনীয়রা। তবে, দুটো দেশই এই এলাকাটিকে তাদের নিজেদের অংশ বলে দাবি করে আসছে।

শুক্রবারের বিবৃতিতে আর্মেনিয়া বলছে, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আমরা যুদ্ধের ইতি টানতে চাই। তবে নাগোর্নো কারাবাগের বিরুদ্ধে যেকোন আগ্রাসনের কড়া জবাব দেবে আর্মেনিয়া।

গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সিরিয়া থেকে ‘জিহাদিস গ্রুপে’র ৩০০ জন যোদ্ধা তুরস্ক হয়ে আজারবাইজানে প্রবেশ করেছে। তারা সবাই তুরস্কের নির্দেশে আজারবাইজানেরন পক্ষে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে।

গণমাধ্যমের এমন খবরে ক্ষেপেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরণ। বৃহস্পতিবার এক বক্তব্য তিনি তুরস্ককে এই ঘটনার জন্য তীব্রভাবে তিরস্কার করে বলেছেন, ‘তুরস্ক বিপদ সীমা রেখা অতিক্রম করেছেন। ফ্রান্স এই ঘটনার ব্যাখ্যা তুরস্কের কাছে চায়।’ 

বৃহস্পতিবার একটি যুগ্ম আহ্বানে রাশিয়া, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বন্ধের জন্য উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে বসতে আহ্বান জানান। তবে সেই আহ্বানে কান দিতে নারাজ তুরস্ক সমর্থিত আজারবাইজান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

banglawebs999991
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Bangla Webs