বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ দাবি করে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পূর্ব ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেওয়ার পরই এ দাবি করল মস্কো।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর বেশ কিছু বিমানঘাঁটির সামরিক অবকাঠামো অচল হয়ে গেছে। রাজধানী কিয়েভের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে রুশ বাহিনী।
এর আগে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাশিয়া ইউক্রেনের সীমান্তরক্ষী ও সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে।
এদিকে ক্রিমিয়া হয়ে ইউক্রেনে প্রবেশ করেছে রুশ সামরিক যান। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকালে বেলারুশ সীমান্ত ক্রসিং থেকে লাইভস্ট্রিম ভিডিওতে ইউক্রেনে সৈন্য ও সামরিক যানের সারি দেখানো হয়েছে। এদিকে রুশ বাহিনীর বোমা হামলায় সাতজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওদেসার বাইরে পদিলস্কে রুশ সামরিক বাহিনীর ছয়জন নিহত হয়েছেন ও এক নারী গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ছাড়া মারিউপুল শহরে আরও একজন নিহত হওয়ার কথা জানান তারা। এখনো ১৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
অন্যদিকে রাশিয়ার পাঁচটি বিমান ও একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী।
ইউক্রেন সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের পূর্বাঞ্চলীয় ঘাঁটি লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু গোলাবর্ষণ করছে রাশিয়া। আর সেই হামলা প্রতিহত করে চলেছে ইউক্রেন বিমানবাহিনী। তবে বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছে রাশিয়া।
ইউক্রেন বাহিনীর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাজধানী কিয়েভের নিকটবর্তী এলাকা বরিসপিল ও বিভিন্ন বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও শুরু করেছে রাশিয়া।
তবে ওই বিবৃতিতে দক্ষিণ অঞ্চলে রুশ প্যারাট্রুপের সদস্যরা প্রবেশ করার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোরে এক টেলিভিশন বক্তৃতায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের দোনবাস তথা দোনেৎস্ক ও লুহানস্কে সেনা অভিযানের ঘোষণা দেন।
এরপরই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। বিবিসি জানায়, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পাঁচ থেকে ছয়টি স্থানে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা গেছে।
পূর্ব ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার লাখো সেনা মোতায়েন নিয়ে উত্তেজনা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে। গত সোমবার পূর্ব ইউক্রেনকে স্বাধীন ঘোষণার পর রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো।