শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২১ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
এখন স্বাধীন দেশে বসবাস করছি: আগে স্বাধীন ছিলাম না : পীর সাহেব চরমোনাই সতর্ক থাকার আহবান :সেপ্টেম্বরে বাড়তে পারে ডেঙ্গুর প্রকোপ এবার ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’ এখনও অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সুযোগ পেলে আঘাত করবে: মীর্জা ফখরুল হোয়াইক্যং ইউনিয়ন উত্তর শাখা ১০ নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত টেকনাফের মাফিয়া ডন বদি গ্রেপ্তার অতিরিক্ত বিমান ভাড়ার নেপথ্যে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাব সভাপতি তসলিম সিন্ডিকেট যুদ্ধবিরতি হলে ইসরায়েলে হামলা করবে না ইরান ১২ দেশের মুদ্রা নিয়ে পালানোর সময় সাবেক ২ মন্ত্রী আটক:১০ দিনের রিমান্ডে বাংলাদেশে সামরিক পদক্ষেপ নিতে মোদির প্রতি আহ্বান কংগ্রেস বিধায়কের
রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে না পাঠাতে আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে না পাঠাতে আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কিছু রোহিঙ্গা ভাসানচরে যেতে আগ্রহী হলেও ইউএনএইচসিআরসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা থেকে তাদের সেখানে না পাঠাতে সরকারের ওপর চাপ রয়েছে বলে আজ রোববার জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমাদের ওপর চাপ রয়েছে, ইউএনএইচসিআর এবং অন্য এনজিওগুলোর পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে না পাঠানোর জন্য সরকারের ওপর চাপ রয়েছে।

ড. মোমেন বলেন, ‘ভাসানচর একটি খুব সুন্দর জায়গা এবং এটি একটি রিসোর্ট হওয়া উচিত ছিল। আমি যদি এর দায়িত্বে থাকতাম তবে আমি এটিকে একটি রিসোর্ট হিসেবে তৈরি করতাম।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গারা রাখাইনে যেভাবে জীবিকা নির্বাহ করতেন, ভাসানচরে গেলে সেভাবেই জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন। এমন অনেক লোক আছে যারা যেতে ইচ্ছুক…এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, সরকার ধীরে ধীরে সেখানে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরিত করতে চায়।

ভাসানচরের পরিস্থিতি নিয়ে যদিও সম্প্রতি রোহিঙ্গা নেতারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন, তারপরও সেখানে জাতিসংঘের কারিগরি ও মানবিক সুরক্ষা দলের সফরের ওপর জোর দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেনসে তেরিঙ্ক।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি প্রথমবারের মতো গিয়ে পরিস্থিতি দেখাটি ছিল এক সমাদৃত পদক্ষপ। তবে, প্রস্তাবিত জাতিসংঘের কারিগরি ও সুরক্ষা মূল্যায়নের বিষয়টিকে এগিয়ে নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। সেইসঙ্গে সেখানে ইতোমধ্যে স্থানান্তরিত ৩০৬ শরণার্থীর মানবিক ও সুরক্ষা পরিস্থিতি মূল্যায়নে আলাদাভাবে সফর দরকার। কক্সবাজারের শিবিরগুলো থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে এ বছর ভাসানচরে স্থানান্তর শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত, ব্রিটিশ হাইকমিশনার, কানাডিয়ান হাইকমিশনের মানবিক সহায়তা প্রধান, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ও জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের মতো বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা সম্প্রতি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন। প্রতিনিধিদলটি ভাসানচর প্রকল্প নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথাও বলে।

প্রতিনিধিদলের সদস্যরা তাঁদের সব আলোচনায় রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু ও ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় বাংলাদেশিদের সাহায্যে অটল প্রতিশ্রুতির বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে আশ্বাস দেন।

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, ‘এ সংকটের শুরু থেকে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে রয়েছি এবং কক্সবাজারে উন্নয়ন সহায়তা বাড়ানো অব্যাহত রাখব। ইতোমধ্যে ৫০ কোটি ডলারের বেশি অনুদান দিয়েছি। এ সংকটকে ভুলে যাওয়া যায় না এবং যাবে না।

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয়ের ক্ষেত্রে উদারতা এবং তাদের ফেরা অবশ্যই স্বেচ্ছামূলক, নিরাপদ ও সম্মানের সঙ্গে হতে হবে বলে একমত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করে প্রতিনিধিদলটি।

তারা পুনর্ব্যক্ত করেন যে এ সংকটের সমাধান রয়েছে মিয়ানমারে এবং সংকটের মূল কারণ সমাধান করতে হবে। তাঁরা উল্লেখ করেন, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগণের ওপর চালানো নৃশংসতার জন্য দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করা গেলে তা উদ্বাস্তুদের নিজ দেশে ফেরার ক্ষেত্রে আস্থা ফেরাতে অবদান রাখবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design By Rana