বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ০২:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
টেকনাফের হোয়াইক্যং নয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক ৪০ বোতল বিয়ার সহ সিএনজি আটক কক্সবাজার হাইওয়ে পুলিশের হাতে ৪ হাজার ইয়াবা সহ আটক-১ টেকনাফে ট্রিপল মার্ডারের নেপথ্যে : পাত্রী দেখা’ ছিল ফাঁদ, আড়ালে অন্য কাহিনি! টেকনাফের ৩ খুনের নেপথ্যে রহস্য উদঘাটনের আশাবাদী টেকনাফ মডেল থানার ওসি আব্দুল হালিম টেকনাফ নাইট্যংপাড়ায় পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান:১৯ জন মায়ানমারের নাগরিক সহ ৪ মানব পাচারকারী আটক: হ্নীলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এবার আদালতের দন্ডিত আবছার সভাপতি হতে মরিয়া! বনবিভাগের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ : ভূমিদস্যুদের হুমকি নানা প্রপাগাণ্ডা ও অপপ্রচার! হ্নীলায় সাবকবলা মূলে বিক্রি করা জমি অবৈধ ভাবে জবর দখলে মরিয়াঃ হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ ৩০ এপ্রিল এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা কক্সবাজারে হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক সিএনজিসহ ৫০ লিটার দেশী মদ উদ্ধার

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আবারো সক্রিয়! 

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২০, ৭.৩০ পিএম
  • ১০৩৪ বার পঠিত

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আবারো সক্রিয়! 

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সশস্ত্র শক্তি বাড়িয়ে চলেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো। তারা ইয়াবার টাকায় সংগ্রহ করছে ভারি ও ক্ষুদ্র অস্ত্রশস্ত্র। এগুলোর মজুদ তৈরি করে তারা ভয়ঙ্কর পরিকল্পনায় অগ্রসর হচ্ছে। সিএমপির বাকলিয়া থানা পুলিশ বলছে, এরই মধ্যে তারা এ রকমের তৎপরতায় যুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করেছে।

বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, সম্প্রতি নগরীর নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে বিদেশি অস্ত্রসহ আবদুল রাজ্জাককে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে মো. কামাল নামে আরেকজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ভয়ঙ্কর তথ্য পাওয়া গেছে। তারা জানিয়েছে, টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কিছু সন্ত্রাসী গ্রুপ ইয়াবার বিনিময়ে ভারি ও ক্ষুদ্র অস্ত্র সংগ্রহ করছে। ক্যাম্পে মাঝেমধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এসব অস্ত্রই ব্যবহার করা হচ্ছে। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে ত্রিশের অধিক সন্ত্রাসী গ্রুপ ও উপ-গ্রুপ সক্রিয় হয়েছে। তারা ইয়াবা ও মানব পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত।ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার কিংবা ঠুনকো ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা মাঝেমধ্যেই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে। প্রয়োজনে তারা ক্যাম্পে অস্ত্রের মহড়া এবং ফাঁকা গুলি ছুড়ে নিজেদের শক্তি সম্পর্কে জানান দিচ্ছে। গ্রুপ ও উপ-গ্রুপগুলো ক্যাম্পে নিজেদের আরও শক্তিশালী করতে ভারি ও ক্ষুদ্র অস্ত্রের মজুদ গড়ে তুলছে। এ জন্য তারা চালু করেছে অস্ত্র সংগ্রহের নতুন ট্রেড। ট্রেডে যুক্ত হওয়া সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আবদুল হাকিম ওরফে ডাকাত হাকিম বাহিনী,  নুর আলম বাহিনী, মাস্টার মুন্না বাহিনী, জকির বাহিনী, সেলিম বাহিনী, হাফেজ জাবের বাহিনী, মৌলভী আনাস বাহিনী, ইসলাম মাহমুদ বাহিনী, মাস্টার আবুল কালাম। গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো দেশের ভিতরে-বাইরে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে এবং তাদের কাছে মাদকের চালান পাঠিয়ে অস্ত্র সংগ্রহ করছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কমপক্ষে ১০টি গ্রুপ এ ভয়ঙ্কর তৎপরতায় জড়িত।

উল্লেখ্য গত ৫ নভেম্বর টেকনাফের হ্নীলা নয়াপাড়া শালবাগানের নাকটেপা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা আব্দু শুক্কুর নামে এক স্থানিয় যুবক কে গুলি করে হত্যা করে। নিহত আব্দু শুক্কুর জাদিমুরার খাইরুল বশরের পুত্র। এর পূর্বে টেকনাফের হ্নীলা রঙ্গিখালীর ১জন ড্রাইভার কে খুন করে অপরজন কে অপহরণের পর প্রশাসন এক সাড়াশি অভিযানের মাধ্যমে তাকে উদ্ধার করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

banglawebs999991
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Bangla Webs