মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৮:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার দাবীতে কক্সবাজার শহরে ইসলামী আন্দোলনের স্বাগত মিছিল কক্সবাজারে হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক ৩৬০০পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার-১ ইসলামী আন্দোলনের টেকনাফ উপজেলার উত্তর শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত টেকনাফে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ৪র্থ ধাপে ভুমি ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তরের বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং হোয়াইক্যং পুলিশের অভিযানে মাদক মামলার ৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী আটক কান্জরপাড়ায় জমির বিরোধ নিয়ে থানায় অভিযোগ দেয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত-১ হোয়াইক্যং কাটাখালীতে আলোর ছোঁয়া ফ্রেন্ডশিপ ক্লাবের উদ্যোগে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি সম্পন্ন প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল স্থগিতঃ ১ মার্চ পুনরায় প্রকাশ করা হবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার ‘মাদকপ্রবণ অঞ্চল’ ঘোষণা করা হলে কী হতে পারে? পালংখালী ফারিয়ার পিকনিকে চট্টগ্রাম বিভাগ ফারিয়া সভাপতি আবু সুফিয়ান সংবর্ধিত

কক্সবাজারে সিএনজি সমিতির নামে বেপরোয়া চাঁদাবাজি যেন অপ্রতিরোধ্য!

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ১১.৫৬ পিএম
  • ৪৯১ বার পঠিত

শহরে সিএনজি সমিতির নামে বেপরোয়া চাঁদাবাজি যেন অপ্রতিরোধ্য!
নিজস্ব প্রতিবেদক::
লিংকরোড,বাসটার্মিনাল, শহরের ষ্টেডিয়াম এলাকা ও কলাতলী পয়েন্টে সিএনজিচালিত অটোচালক থেকে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। “কক্সবাজার জেলা অটো রিক্সা,টেম্পো সিএনজি সড়ক পরিবহন ইউনিয়ন এর ব্যানারে” সিএনজি সমিতির নামে বেপরোয়া চাঁদাবাজি চলছে।
শহরের প্রবেশদ্বার লিংকরোডে ও
সিএনজি-অটোরিক্সা সমিতির নামে ব্যাপক হারে চলছে চাঁদাবাজি। ফলে প্রভাব পড়ছে সাধারণ যাত্রীদের ওপর।

গত কয়েক দিন এই বিষয়ে অনুসন্ধান করে জানা যায়, লিংকরোড বাসটার্মিনাল, ষ্টেডিয়াম এলাকা ও কলাতলী তে রয়েছে পৃথক পৃথক সিএনজি অটোরিক্সা ষ্টেশন। একাধিক অটোরিক্সা চালক জানান,
সিএনজি সমিতি, কয়েক নেতা ও কিছু চামচা ওই চাঁদা আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কক্সবাজার শহরেরর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে টেকনাফ,হোয়াইক্যং,রামু,উখিয়া,মরিচ্যা কোটবাজার, খুরুস্কুল,চৌফলদন্ডি পর্যন্ত অন্তত ছয়টি রুটে সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল করে।
প্রতি ঘাটেই প্রতিনিয়ত তাদের চাঁদার টাকা গুনতে হয়। প্রতিদিন একেকজন অটোরিক্সা চালক লাইন খরচের নামে ৫০ থেকে অন্তত ৮০ টাকা চাঁদা দিতে হয় সমিতিকে। আবার মাসিক হারে কাগজ ডকুমেন্ট পত্র ঠিক না থাকলে ৫ হাজার, কাগজপত্র ঠিক থাকলে ২হাজার ৫ শ থেকে ৩ হাজার টাকা। ভর্তি ফি নেয় ১০ হাজার টাকা। এভাবেই সম্পদের পাহাড় গড়েছেন সড়কের উক্ত চাঁদাবাজরা। পাশাপাশি মোটাদাগে সুবিধা নিচ্ছে ট্রাফিক পুলিশও। যদিও বা ট্রাফিক পুলিশ বিষয়টি অস্বীকার করেছে। কক্সবাজারের বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলার অপরাধ জগতের সঙ্গে এই চাঁদাবাজির যোগসূত্র রয়েছে। চাঁদাবাজির সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের অনেকে খুন, মাদক, চোরাচালান, অবৈধ দখলসহ নানা অপরাধের সঙ্গেও যুক্ত। তারাই এখন মূলত মোটর লাইনের চাঁদাবাজির প্রকাশ্যে ঠিকাদারী নিয়েছে! যাদের আয়ের উৎস সড়কে চাঁদাবাজি। শুধু সিএনজি সীমাবদ্ধ নয়,টমটম,মহিন্দ্রাতে ও চাঁদার ভাগ বসায় তারা। এ ভাবে শ্রমিক ও মালিকদের কোটি কোটি টাকা প্রতি বছরই চাঁদাবাজদের পকেটে চলে যাচ্ছে নিরবেই।
কক্সবাজার জেলা অটো রিক্সা,টেম্পো সিএনজি সড়ক পরিবহন ইউনিয়নের সভাপতি আমানুল্লাহ,সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন চাঁদাবাজির মূল নেপথ্যে নায়ক। তারাই নাকি শহরের সিএনজি মাহিন্দ্রা টমটম নিয়ন্ত্রন করে।
অভিযোগ রয়েছে, তারা সিএনজি থেকে প্রতিমাসে ৫ হাজার টাকা প্রতি গাড়িতে নিলে ট্রাফি পুলিশ কে ডকুমেন্ট থাকলে ২ হাজার,আর ডকুমেন্ট না থাকলে ৩ হাজার টাকা দিতে হয় মাসিক। তবে আমান ও নাজিম এর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা চা খাইতে আসার দাওয়াত দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ ব্যাপারে শহরের ট্রাফিক পুলিশের টিআই আমজাদ হোসেন জানান, অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হচ্ছে। কাগজপত্রের জন্য অনেক গাড়ি পুলিশ লাইনে আটক আছে। মাসোহারার বিষয়টি সঠিক নয়। যারা আমাদের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করে কেউ সঠিক তথ্য দিলে ব্যবস্থা নেবো।# সূত্র: দৈনিক কক্সবাজার৭১

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

banglawebs999991
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Bangla Webs