বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৯ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
এখন স্বাধীন দেশে বসবাস করছি: আগে স্বাধীন ছিলাম না : পীর সাহেব চরমোনাই সতর্ক থাকার আহবান :সেপ্টেম্বরে বাড়তে পারে ডেঙ্গুর প্রকোপ এবার ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’ এখনও অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সুযোগ পেলে আঘাত করবে: মীর্জা ফখরুল হোয়াইক্যং ইউনিয়ন উত্তর শাখা ১০ নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত টেকনাফের মাফিয়া ডন বদি গ্রেপ্তার অতিরিক্ত বিমান ভাড়ার নেপথ্যে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাব সভাপতি তসলিম সিন্ডিকেট যুদ্ধবিরতি হলে ইসরায়েলে হামলা করবে না ইরান ১২ দেশের মুদ্রা নিয়ে পালানোর সময় সাবেক ২ মন্ত্রী আটক:১০ দিনের রিমান্ডে বাংলাদেশে সামরিক পদক্ষেপ নিতে মোদির প্রতি আহ্বান কংগ্রেস বিধায়কের
সমুদ্রের তীর ঘেঁষে ফোর লেন, চট্টগ্রামে পতেঙ্গা-ফৌজদারহাট রিং রোডে যান চলাচল ডিসেম্বরে

সমুদ্রের তীর ঘেঁষে ফোর লেন, চট্টগ্রামে পতেঙ্গা-ফৌজদারহাট রিং রোডে যান চলাচল ডিসেম্বরে

ট্টগ্রাম মহানগরের যানজট নিরসনের লক্ষ্যে নেওয়া ‘চিটাগাং সিটি আউটার রিং রোড’ প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষে ডিসেম্বরের মধ্যেই যান চলাচল পুরোদমে শুরু হবে। ইতিমধ্যে ৯২ শতাংশের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পতেঙ্গা-ফৌজদারহাট পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য সড়ক পুরোদমে চালু হলে নগরের যানজট কমবে। পাশাপাশি দ্রুত পণ্য পরিবহন করতে পারবে বন্দরকেন্দ্রিক গাড়ি ও লরি। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, ‘সিটি আউটার রিং রোড তৈরির কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। তবে জনভোগান্তির কথা চিন্তা করে সীমিত পরিসরে যান চলাচল চালু করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে ৯২ শতাংশের বেশি কাজ। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এ সড়কের কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়কগুলোর কাজ শেষ হতে আরও সময় লাগতে পারে।’ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের লিয়াজোঁ কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন দিদার বলেন, ‘সড়কের সার্বিক কাজের ৯০ শতাংশের বেশি সম্পন্ন হয়েছে। আশা করি ডিসেম্বরের মধ্যেই সড়কটি পুরোপুরি যান চলাচলের উপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে পারব।’ সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পতেঙ্গা থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত নির্মাণাধীন ‘চিটাগাং সিটি আউটার রিং রোড’ প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ না হলেও মাস তিনেক আগে সীমিত পরিসরে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্যবাহী ট্রাক, লরি, কাভার্ড ভ্যান ও বিমানবন্দরে যাতায়াতের জন্য বক্তিগত গাড়ি চলাচল করছে এ সড়ক দিয়ে। কর্ণফুলীর তীরঘেঁষে নগরের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত শুরু হয়ে ফৌজদারহাট পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক কাম বাঁধের সার্বিক নির্মাণকাজ ৯২ শতাংশের বেশি সম্পন্ন হয়েছে। এখনো কাট্টলীর ৫৫০ মিটার কার্পেটিং বাকি। সড়কটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩০ ফুট উঁচুতে নির্মিত হয়েছে। ১১টি ব্রিজ ও স্লুইট গেট নির্মিত হয়েছে। সাগরের পানি যাতে বাঁধের ওপর সরাসরি আঘাত করতে না পারে সেজন্য দেওয়া হয়েছে বেষ্টনী দেয়াল ও সিমেন্টের ব্লক তৈরির কাজ হয়েছে ৯০ শতাংশ। এ ছাড়া ৯০ শতাংশ আনুসঙ্গিক কাজ শেষ হয়েছে। রাস্তার দুই পাশের সৌন্দর্যবর্ধন কাজেরও অগ্রগতি হয়েছে ৫০ শতাংশ।

এ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়ের বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় তিন মাস কাজ বন্ধ ছিল। নইলে অনেক আগেই সড়ক নির্মাণ হয়ে যেত। কার্পেটিংয়ের কাজও প্রায় শেষ। শুধু চৌধুরীপাড়ার ৪৫০ ও কাট্টলীর ১০০ মিটারের মতো সিঙ্গেল রুটের কাজ বাকি। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাও শেষ হবে।’

চট্টগ্রাম মহানগরের যানজট কমাতে ও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সহজে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করতে আউটার রিং রোড কাম বেড়িবাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার এ সড়কে সম্ভাব্যতা যাছাইয়ের পর দাতা সংস্থা জাইকা অর্থ জোগানে সম্মত হয়। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে আউটার রিং রোডের নির্মাণকাজ শুরু হয়। শুরুতে এ প্রকল্পের ব্যয় ৮৬৫ কোটি টাকা ধরা হলেও দুই দফা সংশোধনের পর বর্তমানে তা প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design By Rana