শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:০৮ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
হোয়াইক্যং ইউপির ঝিমংখালীতে তুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে হামলা: নারী সহ আহত-৫ খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন, ‘অল্প সময়ে সিদ্ধান্ত: বললেন আইনমন্ত্রী কঠিন সময় পাড়ি দেওয়ার ক্ষমতা আ.লীগের আছে: ওবায়দুল কাদের মার্কিন ভিসানীতি-নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না আ.লীগ: ওবায়দুল কাদের ভিসার বিধিনিষেধ আরোপের ঘটনা বাংলাদেশের জন্য ‘অপমানজনক ও লজ্জাজনক: ফখরুল আমার ছেলে ওখানে আছে: সম্পদ বাজেয়াপ্ত করলে করবে, তাতে কিছু আসে যায় না: প্রধানমন্ত্রী পল্টনে ব্যাংকে ঢুকে ২০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ২ পুলিশ কনস্টেবলসহ গ্রেপ্তার ৫ খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে আগের দুটি শর্তেই মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হলো পদে পদে হারুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ: মঙ্গলবার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি দিতে পারে বিএনপি
হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি দিতে পারে বিএনপি

হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি দিতে পারে বিএনপি

বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপি আগামী দুই মাসকে তাদের দাবি মানতে সরকারকে বাধ্য করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময় বলে বিবেচনা করছে।

দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বলছেন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই নির্বাচন প্রশ্নে সরকারকে একটি ‘গ্রহণযোগ্য সমাধানে আসতে বাধ্য করতে’ প্রয়োজনীয় সব কিছু করার জন্যই প্রস্তুত হচ্ছেন তারা।

সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের একদফা দাবিতে ১৫ অক্টোবরের আগে টানা কর্মসূচীতে যাচ্ছে বিএনপি। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের বৃহত্তর জেলায় রোডমার্চ ও সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। যা সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার কথা রয়েছে।

দ্বিতীয় ধাপে হরতাল বা অবরোধের মতো ভিন্ন নামে কর্মসূচির চিন্তা করছে দলটির নীতিনির্ধারকরা। যা হবে সরকার পতনের দাবিতে চূড়ান্ত আন্দোলনের শেষ ধাপের কর্মসূচি।

এর মাধ্যমেই আন্দোলনের ফসল ঘরে তুলতে চায় বিএনপি। সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে সব সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বার্তা দেওয়া হয়েছে।

নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ নাগাদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার কথা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে ওই তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।

কিন্তু বিএনপি চাইছে তফসিল ঘোষণার আগেই নির্বাচন ইস্যুতে রাজনৈতিক ফয়সালা নিশ্চিত করতে এবং এ লক্ষ্যে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বড় ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণার চিন্তা আছে দলের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে।

এসব কর্মসূচির মধ্যে ঢাকা ঘেরাও, সচিবালয় ঘেরাও, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘিরে কর্মসূচিসহ নানা ধরণের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে।

বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসব কর্মসূচিতে সরকার পক্ষ বাধা দিলে ‘যদি পরিস্থিতি সহিংস হয়ে ওঠে’ তাহলে এক পর্যায়ে অসহযোগ আন্দোলনের দিকেও যেতে পারে দলটি।

বিএনপি নেতারা জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার আগেই দাবি আদায় করতে চান তারা। এজন্য দুই ধাপে কর্মসূচি সাজানো হচ্ছে। প্রতিটি ধাপের শেষ দিনের কর্মসূচি হবে ঢাকাকেন্দ্রিক। প্রথম ধাপের কর্মসূচিতে সরকারের অবস্থান বোঝার চেষ্টা করবেন। সরকার কঠোর হলে কর্মসূচিও কঠোর হবে।

১৯ বৃহত্তর জেলায় রোডমার্চ বা সমাবেশ কর্মসূচি করার কথা থাকলেও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দুই কর্মসূচি রেখেই তা চূড়ান্ত করেছেন। তবে জেলার সংখ্যা আরও বাড়ানো হয়েছে।

নেতারা মনে করেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং মানবাধিকারসহ নানা ইস্যুতে আন্তর্জাতিকভাবেও সরকারের ওপর চাপ আরও বাড়ছে। তাই একদফা দাবি আদায়ে বিএনপিরও পেছনে ফেরার আর কোনো সুযোগ নেই। এ আন্দোলন দলের নেতাকর্মীদের জন্য বাঁচামরার লড়াই। কারণ তাদের কাছে তথ্য রয়েছে, বিভিন্ন মামলায় আগামী এক মাসে অন্তত ৫০ কেন্দ্রীয় নেতাকে সাজা দেওয়া হতে পারে।

সূত্রমতে, বিএনপির টানা কর্মসূচি যুগপৎ হবে কিনা তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দল ও জোটের মতামত নিতে দু-এক দিনের মধ্যে বৈঠকের কথা রয়েছে।

এছাড়াও চলতি মাসের শেষের দিকে ঢাকায় ছাত্র, যুব, শ্রমিক ও পেশাজীবীদের পৃথক সমাবেশ করার বিষয়ে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা দল ও জোটের পক্ষ থেকে বিএনপিকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগামী স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design By Rana