রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন

হোয়াইক্যং কেরুনতলীতে সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে নিলেও রহস্যজনক কারনে নিরব বন বিভাগ

হোয়াইক্যং কেরুনতলীতে সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে নিলেও রহস্যজনক কারনে নিরব বন বিভাগ

হোয়াইক্যং কেরুনতলীতে সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে নিলেও রহসজনক কারনে ব্যবস্থা নেই বন বিভাগের!

নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজার জেলার টেকনাফে সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে নেওয়ার ঘটনা ধামাচাপার অভিযোগ উঠেছে। গাছ চোর সিন্ডিকেট ও বন বিভাগের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মচারী পাহাড় ধ্বংসের মূল কারিগর বলে ও জানায় স্থানীয়রা।

জানা যায়,টেকনাফ উপজেলার হোয়াইকং ইউনিয়নের কেরুনতলী-ঘিলাতলী এলাকায় ৫ ও ৬ ডিসেম্বর ২০২৪ দুই তিন দফায় অর্ধ শতাধিক গাছ কেটে নিয়ে যায় স্থানিয় চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা। পাচারের খবর পেয়ে হোয়াইক্যং রেঞ্জ কর্মকর্তা,হোয়াইকং বিটের ফরেস্টার,গার্ড ঘটনাস্থল কেরুনতলীতে গিয়ে বিপুল পরিমান গর্জন কাঠ উদ্ধার করে রেন্জ অফিসে নিয়ে আসে। বাগানটি ২০০১ সালে সৃজন করা হয় বলে জানায় স্থানীয় উপকারভোগিরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, টেকনাফ-কক্সবাজার মহা সড়কের পাশে হোয়াইকং ইউনিয়নের ঘিলাতলী,কেরুনতলীতে বাগানটি অবস্থিত। চলতি মাসের ৭ ডিসেম্বর ১১টা ৩০ মিনিটে ঘিলাতলীর মোস্তাক আহমদের পুত্র আনিস,ফজল করিমের পুত্র নাছির,আব্দুররহমানের পুত্র আরাফাত,ইসলাম প্রকাশ কালুর পুত্র ইউনুছ সহ গাছ চোরের একটি সিন্ডিকেট ৫০ হেক্টর সামাজিক বাগানের অর্ধ শতাধিক গাছ কেটে বিক্রি করে দেয়। এলাকাসূত্রে জানা যায়, ৩২.৩৩ নং প্লট থেকেই বেশিরভাগ গাছ কেটেছে সংঘবদ্ধ কাঠ চোরেরা।

পালংখালী ও উলুবনিয়ার কিছু বন খেকো, স্থানিয় বিটের যোগসাজশে কতিপয় অসাধু প্লট মালিকদের ইন্ধনে অনেক গর্জন কাঠ কেটে পাহাড় দিন দিন বৃক্ষ শূন্য করছে। তারা বার বার গাছ কেটে সরকারী সম্পদ উজাড় করলেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ এ ব্যাপারে বেখবর! দেখেও না দেখার ভান করছে তারা। স্থানিয়রা জানায়,সামাজিক বনায়নের বড় বড় গর্জন গাছ নাছির,আনিস গং যারা কেটে বিক্রি করে দিচ্ছে, যাদের বাড়ি ঘর থেকে চোরাই কাঠ উদ্ধার হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হয়নি কেন? এই প্রশ্ন স্বচেতন মহলের।

হোয়াইকং রেন্জ কর্মকর্তা,বিট কর্মকর্তা স্বয়ং ঘটনাস্থলে এসে বাগানের কাঠ হাতে নাতে উদ্ধার করলে ও তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার দৃশ্যমান নেই। ফলে এই গাছ চোরেরা আরো বেপরোয়া হয়ে বন উজাড়ে কোমর বেঁধে নেমেছে । জব্দকৃত শতাধিক ফুট গর্জন কাঠের মধ্যে অর্ধেক গাছ গোপনে চলে গেছে দুটি করাতকলে। যা হোয়াইকং বন বিভাগের ফরেস্টার অস্বীকার করেছে।

এ বিষয়ে হোয়াইকং রেন্জ কর্মকর্তা জানায়, স্থানিয়রা নাম বলেনি কারো। তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেনা গাছ চোরের। ফলে মামলা হয়নি এখনো। তবে তদন্ত শেষ হলে মামলা দেবো বলে জানান তিনি।#

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design By Rana