বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৩৫ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
হোয়াইকংয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আপন ভাগিনাকে জড়িয়ে মিথ্যা ধর্ষণ প্রচেষ্টার মামলা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ।
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের জোয়ারিখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মামলার প্রতিবাদে গত শুক্রবার জুমার নামাজের শেষে মসজিদের মাঠে শত শত স্থানীয় বাসিন্দা বিক্ষোভ করে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে।
স্থানিয় সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণ প্রচেষ্টার অভিযোগ আনা যুবক নুরুল আবছার (২৩) ও মামলার বাদী সেলিনা আক্তার সম্পর্কে আপন মামি-ভাগিনা। তাদের মধ্য ধর্ষণের ঘটনা ঘটনার মত বিষয়টি মেনে নিতে পারছেনা এলাকাবাসী।
সম্প্রতি গত ৬/১১/২০২১ সেলিনা ও আবছারের মধ্যে দোকানদারের বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়। তখন সেলিনা তুমাকে দেখাবো বলে ধমক দেয়। তা নিয়ে কিছু বখাটেদের পরামর্শ উস্কানিতে ৮/১১/২০২১ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্নাল নং-৩ এ একটি ফৌজদারি দরখাস্ত দায়ের করে। যা তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দিতে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইন্চার্জ কে নির্দেশ দেন। নিরীহ আবছর কে জড়িয়ে মামলা দায়ের করার বিষয়ে এলাকায় চাপাক্ষোভ বিরাজ করছে। গতকাল জুমাবার স্থানিয় এলাকাবাসী প্রতিবাদস্বরূপ বিক্ষোভ করে।
মমসজিদের সামনে বিক্ষোভে অংশনেওয়া স্থানীয়রা জানান, মামলাটি সত্য নয়, মিথ্যা বলে সকল মুসল্লিরা শ্লোগান তুলে।
মূলত ঘটনাটি ছিল বাড়াবাড়ির মত তুচ্ছ ঘটনা। আপন ভাগিনা মামিকে ধর্ষণ চেষ্টা করেছে বলে সাজানো এই ঘটনাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন তারা।
জুয়ারিখোলা মসজিদের ইমাম মাওলানা মাঈনুদ্দিন জানান , এইটা সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা। ঘটনা ঘটছে একধরনের সাজিয়েছে আরেক ধরনের। আমি এই মামালার সুষ্ট তদন্ত চাই ।
স্থানীয় জুয়ারিখোলা সমাজের সর্দার আনোয়ার মিয়া প্রকাশ আনু বলেন, মামলার আসামী আবছার হচ্ছে বিবাদী সেলিনার স্বামীর আপন ভাগিনা। মামি ভাগিনা ধর্ষণ চেষ্টা করেছে মর্মে আদালতে যে মামলা করেছে। আমি এলাকার সর্দার হিসেবে এই মামলার সুষ্ট তদন্ত ও সঠিক বিচার চাই। সরেজমিনে তা তদন্ত করা হলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
৪নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার দিল মোহাম্মদ বলেন, উক্ত মামলা সম্পর্কে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে আমি তথ্য সংগ্রহ করে জানতে পারি যে,মামলার বাদী বিবাদী তারা পরস্পর আপন মামি-ভাগিনা। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিরীহ আবছার কে ফাঁসাতেই মিথ্যা মামলার আশ্রয় নেয় আবছারের মামি। আমি উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মককর্তারা কে এলাকায় এসে প্রকাশ্যে তদন্তর দাবি জানাচ্ছি।
মামলার বিবাদী আবছারের মাতা ফেরদৌস বলেন, আব্দুল আলিম নামের এক অসাধু ব্যাক্তি উক্ত সেলিনা কে শিমের পাতা গায়ে মিশিয়ে ঘটনা ঘটিয়ে আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। সেলিনা আমার আপন ভাইয়ের বউ। আমি প্রশাসনের কাছে ঘটনার জন্য নিরপেক্ষ তদন্ত দাবী করছি।
মামলার বিবাদী আবছার সাংবাদিকদের জানায়, তার মামির সাথে তার কোন রকম দুশমনি বা শত্রুতা ছিল না। সমান্য কথা কাটাকাটির জের ধরে তার বিরুদ্ধে জঘন্যতম মিথ্যা মামলা দায়ের করে সেলিনা। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে জানায়,আমার মায়ের স্থলে থাকা নিজ মামি কে ধর্ষণ করার মত আজগুবি অভিযোগ এলাকার সাধারণ মানুষ কে ভাবিয়ে তুলেছে। কত নিকৃষ্ট রুচির মন মানসিকতা হলে এ ধরনের কথা বলা যায়!
স্থানিয় সর্দার আনু মিয়া,মসজিদের খতীব মাওলানা মাঈনুদ্দিন, সাবেক মেম্বার দিল মুহাম্মদ, মসজিদ কমিটির সভাপতি মোঃ ইউসুফ,মুক্তিযুদ্ধা লীগের সভাপতি নুরুল বশর, মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি আব্দুল মতলব,আব্দুল খালেক, হাবিবুররহমানের, আবুল কালাম,নুর মোহাম্মদ খলিবা, মোঃ হোছন,আমির হোছন মিস্ত্রি, মোঃ দেলোয়ার,আব্দু শুক্কুর,মোঃ সাদ্দাম,জলাল আহমদ, মোঃ কালু, আব্দুল মালেক সহ অসংখ্য জনতা এ মিথ্যা মামলার প্রতি ধিক্কার জানিয়েছে। তারা অনতি বিলম্বে এ মিথ্যা মামলা প্রত্যারের ও দাবী জানান।
এই বিষয়ে জানতে মামলার বাদী সেলিনার সাথে কথা তার বাড়িতে গেলে তিনি কথা বলতে অপারগ বলে তার বাসার গেইট বন্ধ করে রাখায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply