শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:: টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউপির লম্বাবিল এখন আদম পাচারের অঘোষিত ট্রানজিট ঘাট। এতে পাচারকারীদের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট ও রয়েছে।
লম্বাবিল চিত্তবাবুর কাচারীর সংলগ্ন উক্ত আদমপাচারের ঘাটের নেপথ্য রয়েছে নুর আহমদ ধলবদু ও জামাল সহ ১০/১২ জনের সংঘবদ্ধ চক্র।
অনুসন্ধানে জানা যায়,হোয়াইক্যং ইউপির লম্বাবিল তেচ্চিব্রিজ সীমান্ত এলাকায় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন থেকে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে । এ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকা কুমিরখালী,শীলখালী,বলিবাজার,নাকপুরা আদম ঘাট হয়ে সীমান্ত এলাকা লম্বাবিল তেচ্চিব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন আসছে অসংখ্য রোহিঙ্গা। সীমান্তের অতন্দ্রপ্রহরী বিজিবির চোখে ফাঁকি দিয়ে রোহিঙ্গারা পারাপার করছে। অনেকে মিয়ানমারের উপকূল হয়ে মালয়েশিয়ার বোটে উঠে বলে ও জনশ্রুতি রয়েছে। দিবানিশি পাহারা বসিয়ে পাচার কাজ আন্জাম দেয়ায় তাদের কে ঠেকাতে পারচ্ছেনা বিজিবি। সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে বিজিবির নজরদারী থাকলেও কিছুতেই থামছেনা রোহিঙ্গাদের আউট এবং ইন। এলাবাসীর মতে শুধু অনুপ্রবেশ নয়,সাথে আসে মাদক আইস ও বিদেশী বিভিন্ন ব্রান্ডের মদ ও বিয়ার। সূত্র জানা যায়,উখিয়া-টেকনাফের কয়েকটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাদকের গডফাদার রা লম্বাবিল পয়েন্ট দিয়ে মাদকের চালান ও খালাস হয়। এতে ব্যবহার হয় ছোট ছোট নৌকা।
লম্বাবিলের ফজল কবিরের পুত্র নুর মোহাম্মদ প্রকাশ ধলবদু, দিলমুহাম্মদের পুত্র জামাল, লেডুর পুত্র কালু,মুফিজ,জসিম,শফিক সহ ১০/১২ জনের একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। তাদের দুটি গ্রুপ সক্রিয়ভাবে পাচার কাজে জড়িত। এক গ্রুপ আদম নিয়ে আসে,আরেক গ্রুপ রোহিঙ্গা নিয়ে ওপারে পৌছে দেয়। বিনিময়ে মাথাপিছু ২ হাজার টাকা করে নেয়। আলেকিন(আরসা) ও এই পয়েন্ট ব্যবহার করে থাকে। বিনিময়ে তারা প্রতি নৌকা ৫০/৬০ হাজার টাকা নেয়। মাদক কারবারীদের সাথে রয়েছে অন্য হিসাব।
তাদের দুই গ্রুপের সদস্যদের নেত্বেতে চলে লম্বাবিল মিয়ানমার অবৈধ আদম ঘাট।এলাকাবাসী মাদক ও মানবপাচার বন্ধে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।
হোয়াইক্যং বিজিবির কোম্পানী কমান্ডার জানান,আদম ঘাটের ব্যাপারে আমার কাছে কোন তথ্য নেই। উক্ত এলাকায় বিজিবির প্রতিনিয়ত টহল জোরদার থাকে।
Leave a Reply