শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১২ পূর্বাহ্ন
টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কে যাত্রী বোঝাই অটোরিক্সা (সিএনজি) এবং বাসের মুখোমুখী সংঘর্ষে পিতা—পুত্র ও অপর এক শিশুসহ ৩ জন নিহত এবং সিএনজি চালকসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। ১০ ফেব্রুয়ারী (বুধবার) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনছিপ্রাং ষ্টেশনের উত্তরে ব্রিজের পরে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কক্সবাজার থেকে টেকনাফগামী যাত্রী বোঝাই স্পেশাল সার্ভিসের পালকি পরিবহন (কক্সবাজার—জ—১১—০২৩৮) এবং হ্নীলা মরিচ্যাঘোনা হতে কক্সবাজারগামী অটোরিক্সা (সিএনজি) কক্সবাজার—থ—১১—৮৭৪৬ এর মধ্যে মুখোমুখী সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে হ্নীলা মরিচ্যাঘোনার বাসিন্দা সিএনজি যাত্রী ছালামত উল্লাহ (৫৫), ছালামত উল্লাহর পুত্র নজরুল ইসলাম (৩০) ঘটনাস্থলে মারা যায়। ঘটনার খবর পেয়ে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির আইসি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পালংখালী গয়ালমারা এমএসএফ হাসপাতালে প্রেরণ করে এবং বাসটি জব্দ করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কামরুল ইসলামের ৭/৮ মাসের এক মেয়ে শিশু মারা যায়। এছাড়া গয়ালমারা হাসপাতাল হতে হ্নীলা পানখালী শিয়াইল্যামোরা গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৩৪) ও শিশু মেয়ে, কামরুলর স্ত্রী নুর নাহার বেগম (৩৩) ও ১০/১১ বছরের মেয়ে এবং সিএনজি চালক আলী আকবর পাড়ার বাসিন্দা আবুল মঞ্জুরের পুত্র নুরুল মোস্তফা (৪৩) সহ ৫জন নারী—শিশু ও পুরুষকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে নিহত নজরুল ইসলামের শিশু মেয়ে এবং কামরুল ইসলামের কিশোরী মেয়ের অবস্থা আশংকাজনক বলে হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে। যাত্রী বোঝাই অটোরিক্সা (সিএনজি) দুমড়েমুচড়ে যায়।
হ্নীলা ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বশির আহমদ জানান,ঘটনাটি মর্মান্তিক। আমি আহতদের যথাসাধ্য চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আহতদের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানান বশির মেম্বার।নিহত পরিবারের মাঝে শোকের মাতম চলছে।
Leave a Reply