হোয়াইক্যং এর উনছিপ্রাং এলাকা হতে ইয়াবাও বিয়ার উদ্ধারের ঘটনা তদন্তের দাবী:
নিরীহ কাউকে না জড়ানোর দাবী এলাকাবাসীর।
নিজস্ব প্রতিবেদক::
টেকনাফ উপজেলার ১ নং হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের উনছিপ্রাং এ মাদক বিরোধী সফল অভিযান পরিচালনা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফ বিশেষ জোন।
গত ৫ জুলাই দিবাগতরাতে(০৫.০৭.২১)
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফ বিশেষ জোন এর সহকারী পরিচালক সিরাজুল মোস্তফার নেতৃত্বে একটি টিম প্রথমে সৈয়দ নুরের পুত্র সরওয়ার কামাল মানিক ও শব্বির ওরপে সাইফুল এর বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে মাদক ও বিয়ারের চালান উদ্ধার করে। প্রতক্ষদর্শিরা জানায়, উক্ত মানিকের বাড়ি থেকে মাদক,বিয়ার জব্দ করে তার স্বীকারুক্তি অনুযায়ী শাকের ডালিমের বাড়িতে অভিযান চালায়। পরে ২০ হাজার ইয়াবা ও ১২০ ক্যান বিয়ার জব্দ দেখানো হয়।
এঘটনায় ডিএনসির সহকারী পরিচালক সিরাজুল মোস্তফা বাদী হয়ে শাকের ডালিম পিতা: মৃত ছফর আহমদ এর বিরুদ্ধে মাদকের সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করে।টেকনাফ মডেল থানায় দায়ের করা
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফ জোনের এজাহারের শেষে দেখা যায়,গ্রেপ্তারকৃত আসামী শাকের ডালিম কে জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াবা ও বিয়ার ব্যাবসার সাথে জড়িত ৫ জনের নাম স্বীকার করে। তারা হচ্ছে যথাক্রমে১.আ:রহমান(৩০),২.মাহবুব আলম প্রকাশ মাহবুব(৩৫),৩.বাবুল(২৮),৪.লুৎফুররহমান((২৩),৪.জাবের আহমদ(২৮)। এজাহারে এই ৫ নের পিতা,মাতার নাম নেই। নেই কোন পারিবারিক তথ্য। তা নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী জানায়,নামের সাথে ২ জনের কর্মকান্ড বা কাজের মিল থাকলেও বাকি ৩জনের নাম ও কাজের সাথে মিল নেই মোটেও। স্থানিয় আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল ইসলাম লালু জানায় এ মামলায় প্রকৃত মাদককারবারী ছাড়া নিরীহ কেউ হয়রানীর শিকার হলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাবে। জেলে ও দিনমজুর প্রাকৃতির কোন লোক যাতে হয়রানী না হয়,সে ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। স্থানিয় হোয়াইক্যং ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল বাছেদ জানায়,পিতার নাম বিহীন কোন নিরপরাধ ব্যাক্তি,বা মাদকের সাথে জড়িত নেই এমন কোন ব্যাক্তি হয়রানী হলে এলাকাবাসী মেনে নিবেনা। স্থানিয় বাসিন্দারা জানায়, মাদকও বিয়ার উদ্ধার ঘটনা আরো তদন্তের প্রয়োজন। সরেজমিনে আমজনতার সামনে বিষয়টি তদন্তের প্রয়োজন।
Leave a Reply