শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১৪ পূর্বাহ্ন
হোয়াইক্যং এর কান্জরপাড়ায় বিয়ের দাবীতে রুজিনার পরিবারের সংবাদ সম্মেলন।
মাহফুজুররহমান মাসুম, নিজস্ব প্রতিবেদক::
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কান্জর পাড়ায় বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ার বিষয়ে রুজিনার ভুক্তভোগি পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে। বর্তমানে রুজিনা তার দীর্ঘদিনের প্রেমিক ছৈয়দ নুরের বাড়িতে অবস্থান করছে।
গতকাল ২৮ অক্টোবর সন্ধায় ৭ টায় কান্জরপাড়াস্থ রুজিনার এক ঘনিষ্ট আত্মিয়র বাড়ি প্রাঙ্গনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। জনাকীর্ণ উক্ত সংবাদ সম্মেলনে স্থানিয় প্রতিবেশী,রুজিনার চাচা,ভাই ছাড়াও স্থানিয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন রুজিনার বড়ভাই নবী হোছন। সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন চাচা মুসলিম উদ্দিন। লিখিত বক্তব্যে রুজিনার ভুক্তভোগিরা জানায়,
রোজিনা আক্তার (১৯) পিতা জেবর মুল্লুক সাং, কান্জরপাড়া ওয়ার্ড নাম্বার-৫ ইউনিয়ন: হোয়াইক্যং। ২০১৫ সালে জেএসসি ২০১৮ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
দীর্ঘ বছর ধরে ছাত্রী জীবনে রুজিনার কে স্কুলে যাওয়া আসার পথে উত্ত্যক্ত করতো একই এলাকার মোঃ সৈয়দ নূর পিতা-মৃত মকতুল হোসেন। আমরা তাকে দীর্ঘদিন থেকে চিনতাম, জানতাম। আমাদের জানামতে স্কুলজীবনে স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রতিনিয়ত উত্যক্ত করত ছৈয়দ নূর।
তাকে বিয়ে করবে বলে রাস্তাঘাটে প্রকাশ্যে বিভিন্ন লোকজনকে বলাবলি করতো। গোপনে প্রকাশ্যে তার ঘরে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাতো। সে লেখাপড়া না করে বিয়ে করবে না বললে তাকে অপহরণ খুন ও গুম করবে বলে হুমকি ধামকি দিতো। কোথাও পিতৃহারা উক্ত মেয়ে কে কেউ বিয়ে করার জন্য বাড়িতে প্রস্তাব পাঠালে সে মিথ্যা অপপ্রচার করত এই বলে যে আমি তাকে বিয়ে করবো। এভাবে উক্ত রুজিনার কে চরম নাজেহাল ও সামাজিকভাবে হেয় এবং বদনাম করে সর্বত্র। সর্বশেষ গত কয়েক বছর ধরে তাকে বিয়ে করার জন্য পাগল হয়ে লায়লা মজনুর মত নানা ঘটনার অবতারণা করে। তাকে বিয়ে করতে না পারলে আত্মহত্যা করবে মর্মেও কথা প্রকাশ করে, না হয় আমি যাদু-টোনা করে মেরে ফেলবো। এভাবে তাকে আদর ভালোবাসা দেখিয়ে রুজিনার মনের মধ্যে জায়গা করে নেয় উক্ত সৈয়দ নূর।
স্ত্রীর মর্যাদা দিবে বলে তাকে স্বামী হিসেবে মেনে নিয়ে তার শরীর সপে দিয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন স্বামী স্ত্রীর মত যৌনসঙ্গম সহ সবকিছু করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ আনা হয়। শারীরিক সম্পর্ক ছাড়াও মেয়ের বোনের বাড়িতে এবং ছৈয়দ নূরের আত্মীয় জাফরের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মত করে তার সাথে রাত্রিযাপন করার ও স্বাক্ষরিত প্রমাণ রয়েছে। স্বামী-স্ত্রী হিসেবে তাদের উভয়ের মধ্যে মেলামেশা হয়েছে বলে জানান।
পরে একদল সাংবাদিক ছৈয়দ নূরের বাড়িতে গেলে রুজিনার সাথে কথা হয় সাংবাদিকদের। তখন রুজিনা সাংবাদিকদের জানায়,আমাকে স্ত্রী হিসেবে এবং আমি তাকে স্বামী হিসেবে মেনে নেয়ার পরও কেন এই প্রতারণা?
আমি তাকে স্বামী হিসেবে পেতে চাই। আমি কোন ধন সম্পদ এবং ক্ষতিপূরণ চাইনি যে আমার সম্ভ্রমহানি করেছে তার ক্ষতিপূরণ দিয়ে আমার কি ই বা হবে?
আমি তার স্ত্রী হিসেবে স্ত্রীর মর্যাদা চাই আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে বিচার চাই।#
Leave a Reply