বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন
হোয়াইক্যং এর নয়াপাড়ায় জমির বিরোধ নিয়ে মিজান বাহিনীর হামলা: ৮ নারী পুরুষ আহত
নিজস্ব প্রতিবেদক:
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউপির ৫ নং ওয়ার্ডের নয়াপাড়ায় জমির বিরোধের জের ধরে ধরে দুর্ধর্ষ ডাকাত সর্দার মিজান বাহিনীর হামলায় নারী পুরুষ সহ ৮ জন আহত হয়েছে। তম্মধ্যে ১ জনের অবস্থা আশংকাজনক অবস্থায় প্রথমে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থান অবনতি হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হচ্ছে-জহিরুল ইসলাম (৬০) রুবেল উদ্দিন (৩৮) মামুন উদ্দিন (২১)ছৈয়দা খাতুন(৫০) পারবিন আক্তার(৩০)নাজমা আক্তার(২৫)রুবিনা আক্তার(১৮)ছমিরা আক্তার(১৬)।
শুক্রবার (২৪জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াপাড়াস্থা কাটামুড়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানিয়রা জানায়, জহিরুল ইসলাম প্রকাশ রবি পিতা: মকবুল আহমদ পেশাায় একজন কৃষি ও ভিলেজার। তার পিতা ও ভিলেজার ছিলো। বন বিভাগের( পিএফ) জমিতে দীর্ঘ কয়েকযুগ ধরে চাষাবাদ করে আসছিল। পার্শ্ববর্তি আরেক ভিলেজার জমির দখল ক্রয় করে ঝিমংখালীর সুলতান আহমদ ওরফে পটনার পুত্র মিজান (৩৮)। পাশের জমির দীর্ঘকাল যাবত দখলীয় মালিক জহিরুল ইসলাম প্রকাশ রবি’র। রবি প্রতিদিনের ন্যায় ঘটনার দিন শুক্রবার সকালে জমিতে চাষাবাদ করতে নিজ পুত্রদের নিয়ে জমিতে গেলে মিজান গং দলবল নিয়ে বাধা দেয়।
এক পর্যায়ে মিজান, আলমাছ, ছৈয়দ আলম,খুরশিদ,শাহ আলম সহ ৯/১০ জনের অবৈধ অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত বাহিনী নিয়ে জহির ওরফে রবি’ সহ তার পুত্রদের উপর ছড়াও হয়। এক পর্যায়ে রবি ও তার’ পুত্র রুবেল কে ধারালো কিরিচের আঘাত করলে উভয়ে মাঠিতে লুটে পড়ে। পরে তারা রবি’র বাড়িতে এসে ২য় দফা আক্রমন চালিয়ে মামুন উদ্দিন (২১)ছৈয়দা খাতুন(৫০) পারবিন আক্তার(৩০)নাজমা আক্তার(২৫)রুবিনা আক্তার(১৮)ছমিরা আক্তার(১৬) কে মারধর করে আহত করে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, মিজান ও তার বাহিনী রবি’র বাড়িতে ঢুকে এলোপাতাড়ি মারধর ও ২ মেয়ের স্বর্ণের চেইন,কানের দুল,প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। রবি’র স্ত্রী ছৈয়দা খাতুন(৫০) জানায় এই চিহ্নিত ডাকাতরা আমার বাড়িঘর লুটপাট করেছে। আমার যুবতী,কিশোরী মেয়ে কে মারধর করেছে। আমি তার বিচার চাই।
স্থানিয় প্রত্যক্ষদর্শিরা জানায়, ঘটনার পর এলাকার মানুষ শোর চিৎকার শুনে এগিয়ে আসলে তারা কিরিচ উচিয়ে ফাকা গুলি বর্ষণ করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর একাধিকবার ৯৯৯ এ ফোন করে ও কোন প্রতিকার পায়নি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার।
এলাকার জনপ্রতিনিধি হাজী মোঃ ইদ্রিস প্রতিবেদক কে জানায়, মিজান একজন চিহ্নিত ডাকাত। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র,ডাকাতি ও মাদকের মামলা রয়েছে। মিজান ও তার বাহিনী মহিলাদের কে মারধর করেছে তা দিবালোকের ন্যায় সত্য। প্রশসনের উচিত তাকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যাবস্থা করা।
এ ব্যাপারে মামলা পক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানায় ভুক্তভোগী পরিবার।
স্থানিয় হোয়াইক্যং পুলিশের আইসি,এস.আই মুজিবুররহমানের জানান,ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরেছি। সঠিক ঠিকানা না পাওয়ায় যাওয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply