শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন
টেকনাফ উপজেলার হ্নীলায় সাবকবলা মূলে বিক্রি করা জমি অবৈধ ভাবে জবর দখলে মরিয়া একটি চিহ্নিত চক্র!
নিজস্ব প্রতিবেদক:::
টেকনাফ উপজেলার হ্নীলায় সাবকবলা মূলে বিক্রি করা জমিতে অবৈধ ভাবে জবর দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে হ্নীলার একটি অসাধু চক্র। অদ্য সকাল ১১ টায় অনধিকার চর্চা করে জমির বাউন্ডারীতে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করে জমিতে থাকা স্থাপনা ভাংচুর ও লুটপাট করেছে বলে দাবী করেছে জমির বায়না সূত্রে মালিক আবু তাহের। গতকাল উক্ত হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা র্যাব ও পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানা যায়, ২০০৮ সালে মরহুম ফিরুজ আহমদ চৌধুরীর পুত্র ও দৈনিক হিমছড়ি পত্রিকার সম্পাদক আলহাজ্ব আলী হাছান চৌধুরী রেজিস্ট্রার্ড কবলা মূলে মরহুম আব্দুসসালাম কোম্পানির পরিবার থেকে ৭০ শতক জমি ক্রয় করে।
আব্দুসসালাম কোম্পানির ২ স্ত্রী যথাক্রমে সুফিয়া আক্তার,কালাবানু,মরহুম শেখ মোঃ রফিক,মরহুম দেলোয়ার,সরওয়ার,আনোয়ার,আবছার,জাহাঙ্গীর, জেসমিন আক্তার, আক্তার জাহান,কউসার জাহান,নুরজাহান,পারভিন আক্তার, রেখা আক্তার,রুমা আক্তার,৫৪২/০৮ নং কবলামূলে ৭০ শতক জমি বিক্রি করে। যার আর.এস ১২৭৮ এক হাজার দুইশত আটাত্তর, ১১২৯ এক হাজার একশত উনত্রিশ, ১০২৩ এক হাজার তেইশ, ১৩৫৩ এক হাজার তিনশত তিপ্পান্ন নং খতিয়ানাদির এম, আর, আর ১১৫২ এক হাজার একশত বায়ান্ন, ১৪০৯ এক হাজার চারশত নয়, ১২৬০ এক হাজার দুইশত ষাট, ১৪৭৯ এক হাজার একশত চারশত উনাশি নং খতিয়ানাদীর আর, এস ৯২২ নয়শত বাইশ, ৯২৪ নয়শত চব্বিশ, ৯৩২ নয়শত বত্রিশ, ৯৮৬ নয়শত ছিয়াশি, ৯২৬ নয়শত ছাব্বিশ, ৯২৯ নয়শত উনত্রিশ, ৯৭২ নয়শত বাহাত্তর, ৯৭৩ নয়শত তিয়াত্তর, ৯৭৪ নয়শত চুয়াত্তর, ৯৮৫ নয়শত পঁচাশি, ৯৮৩ নয়শত তিরাশি, ৯৩৫ নয়শত
পঁয়ত্রিশ, ৯৮২ নয়শত বিরাশি, ৯৪০ নয়শত চল্লিশ, ৩৬০৯ তিন হাজার ছয়শত নয়, ৩৬২১ তিন
হাজার ছয়শত একুশ দাগাদির আন্দর। তুলনামূলক বি,এস ১৪৯২ এক হাজার চারশত বিরানব্বই।
বি.এস ৪০৪৫ চার হাজার পঁয়তাল্লিশ, ৪০৫৪ চার হাজার চুয়ান্ন, ৪০৫৮ চার হাজার আটান্ন, ৪০৬৯ চার হাজার উনসত্তর, ৫১৫২ পাঁচ হাজার একশত বায়ান্ন দাগাদির আন্দর। তৎ সৃজিত
বি.এস ২৯৬৫ দুই হাজার নয়শত পঁয়ষট্টি নং খতিয়ানের সৃজিত বি.এস ৪০৪৫ চার হাজার পঁয়তাল্লিশ
দাগ সম্পূর্ণ। উক্ত জমি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে আলী হাছান চৌধুরী ভোগ দখলে রয়েছেন।
উল্লেখ থাকে যে,উক্ত জমি ক্রয় করার সময় নাবালক থাকা মরহুম আব্দুসসালাম কোম্পানির পুত্র পুলক গং বড় হয়ে দাবী করবেনা মর্মে তার মাতা কালাবানু ননজুডিশিয়াল ষ্টাম্প মূলে ২০০৮ সালে জমি গ্রহিতা কে নাদাবী নামা প্রদান করেন। তাসত্বে ও অপরের ভোগদলীয় জমিতে অনধিকার চর্চা, জবর দখল প্রক্রিয়া অবশ্যই বেআইনি। এ প্রসঙ্গে জমির প্রকৃত মালিক আলী হাছান চৌধুরী টেলিফোনে জানান,আইনমতে আমার খরিদা ৭০ শতক জমির মধ্যে ১ শতক জমি ও যদি অপূরণ থাকে জমি দাতাগন কে অবশ্যই আমাকে পুষিয়ে দিতে হবে। অন্যথায় দাগের আন্দর মতে তাদের ঘরবাড়ি বা মার্কেট থেকে সেই পরিমাণ জমি পুষিয়ে দিতে হবে। না হয় আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণে আমি বাধ্য হবো বলে ও জানান। জমির বায়না সূত্রে মালিক আবু তাহের জানান,মাদককারবারি আনোয়ার,পুলক গং তারা অবৈধ অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে আমার ভোগদলীয় জমিতে হামলা,ভাংচুর করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগ দাখিল পক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে অভিযুক্ত আনোয়ার গং ঘটনার বিষয় অস্বীকার করছে।
Leave a Reply