শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৪ পূর্বাহ্ন
হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ::
কুতুপালং যাত্রী আনতে গিয়ে স্বশস্ত্র রোহিঙ্গা গ্রুপের হাতে অপহৃত হ্নীলার নোহা চালক নুরুল বশরকে অপহরণের ৫১ ঘন্টা পর গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত চালককে কক্সবাজার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জানা যায়, ৮ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে হ্নীলা রঙ্গিখালী স্কুল পাড়ার দিলদার আহমদ প্রকাশ দিলুর পুত্র নোহা চালক নুরুল বশরকে (৩৫) রোহিঙ্গা অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা ছুরিকাঘাত হয়ে রক্তাক্ত এবং গুরুতর আহত অবস্থায় ছেড়ে দেয়। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কবল থেকে ফিরে আসা নুরুল বশর তার এক বোন জামাই এবং স্বজনদের সহায়তায় চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার গমন করে বলে স্ত্রী সেগুফা নিশ্চিত করেন। তাঁরা নোহা চালক বশর নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার জন্য হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলীর কৌশলী ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। অপহৃত চালক ফিরে আসার সংবাদে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
উল্লেখ্য, ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় এক ব্যক্তির ভাড়ায় হ্নীলা হতে কুতুপালং মরকজ পাহাড় এলাকায় যাত্রী আনার জন্য গিয়ে হ্নীলা রঙ্গিখালী স্কুল পাড়ার দিলদার আহমদ প্রকাশ দিলুর পুত্র নোহা চালক নুরুল বশর (৩৫) অপহৃত এবং পশ্চিম সিকদার পাড়ার নুর হোছনের পুত্র নুরুল হুদা (৩০) খুন হন। এই ঘটনার পর স্থানীয় সাধারণ মানুষের মধ্যে রোহিঙ্গা বিরোধী বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়ে। তারা বিভিন্ন স্থানে রোহিঙ্গাদের উপর চড়াও এবং তাদের প্রতিহতের ঘোষণা দেন।
৭ অক্টোবর একটি মুঠোফোন থেকে অপহৃত নোহা চালক নুরুল বশর বাবার নিকট ফোন করে জানান, সে রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী গ্রæপের হেফাজতে পাহাড়ে রয়েছে। এই বিষয় নিয়ে বেশী হৈচৈ করলে লাশ পাবে, আর নিরব থাকলে তাদের মনে দয়া হলে জীবিত ছেড়ে দিতে পারে বলে আশ্বস্থ করেন। স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ সচেতন মহল অপহৃত নুরুল বশরকে প্রাণে রক্ষার্থে কৌশলী ভূমিকা পালন করে। এরই প্রেক্ষিতে অপহরণকারী গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ফেরত দিলে পরিবারসহ সকলের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে এবং চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার অবসান ঘটে।
Leave a Reply