২২ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সিআইসি কে অবরুদ্ধ করে হেনেস্তার চেষ্টা: মুসলেকায় ছাড়া পেয়ে সংবাদ সম্মেলন
মুহাম্মদ তাহের নঈম::
কক্সবাজারের টেকনাফের ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ট্রেনিং সেন্টার পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে চাকমা সম্প্রদায়ের বিজয়মালা নামক এক মহিলা চাকমা তার লোকজন নিয়ে ক্যাম্প ইনচার্জ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল হক কে অবরুদ্ধ করে হেনেস্তার চেষ্টা চালিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায়,রইক্ষ্যং পুটিবনিয়া ২২ ক্যাম্পের ভিতরে স্থানীয় বিজয়মালা নামক চাকমা ক্যাম্পের অভ্যান্তরে অবস্থিত তার দোকানে প্রতিনিয়ত টিভি তে গানবাজনা চালায়। সেখানে বিভিন্ন লোকজন গিয়ে ধুমপান করে। লার্নিং সেন্টারের স্টুডেন্টরাও পাঠশালা ছেড়ে সেখানে টিভি দেখতে চলে যায়। গতকাল দুপুরে ক্যাম্প ইনচার্জ একটি এনজিওর ট্রেনিং সেন্টারের এক প্রোগ্রামে যাওয়ার পথে বিষয় টি তার নজরে পড়ে। তাৎক্ষণিক তাকে টিভি না চালাতে নিষেধ করলে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে কয়েকজন উপজাতি। এক পর্যায়ে
ঘটনাস্থলে কতিপয় উশৃংখল উপজাতি ক্যাম্প ইনচার্জ এর সাথে অসদাচরণ করে দৃশ্যটি তাদের মোবাইল দিয়ে ভিডিও করতে থাকে। এসময় ক্যাম্প ইনচার্জ অবস্থার বেগতিক দেখে কোনমতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে অফিসে চলে যান।
বুধবার ( ১৬ অগাস্ট) দুপুর ১২ টারদিকে এই ঘটনা ঘটে। স্থানিয় প্রত্যক্ষদর্শি আবুল কাশেম জানায়, দুপুর ১২ টার পর দেখি এক উপজাতি মহিলা অকথ্য ভাষায় সিআইসি মহোদয় কে গালমন্দ করছে। আমি দেখে তাকে নিষেধ করেছি। যা দুঃখজনক ঘটনা বলে ও তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে ক্যাম্পের উক্ত
বিষয় নিয়ে ঘটনার সাথে অভিযুক্ত বিজয়মালা চাকমা ও তার লোকজন একই দিন বিকাল ৫ টারদিকে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিজয়মালা চাকমা বলেন,আমি স্থানিয় একজন দোকানদার।সময় অসময়ে আমাদের সাথে সিআইসি ও প্রশাসনের সাথে সমস্যা হয়। আজকে যা হয়েছে তা নিয়ে আমরা বড় কিছু করতে চায় না। আমরা শান্তি চাই, নিরাপত্তা চাই,প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা চাই,মিলেমিশে থাকতে চাই। পাশাপাশি সিআইসি ও পুলিশের সহযোগিতা চাই। ৬ মাস ধরে দোকান করতেছি। এরই মধ্যে পর পর দুইবার দুর্ঘটনা ঘটেছে। কে জানি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে সিআইসি কে। উনি আমাকে কিছু বলেনি। আমি ও আইনের মানুষের সাথে বাড়াবাড়ি করতে চাইনি,আমি কাজ করেই খেতে চাই। আমি নিরপরাধ। সুতরাং আমার দোকান খুলে দেয়া হোক।
স্থানীয় হোয়াইক্যং ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার রশিদ আহমদ বলেন,এই ঘটনায় যেহেতু উক্ত মহিলা তার দায় স্বীকার করে মুচলেকা দিয়েছে।সুতরা তার বিরুদ্ধে আইনি কোন ব্যবস্থা না নিতে আমরা সুপারিশ করেছি। বিষয় টি সমঝোতা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে দায়িত্বরত ক্যাম্প ইনচার্জ ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রফিকুল হক জানান,স্থানীয় বিজয়মালা নামক চাকমা তার দোকানে টিভি চালায়,সেখানে বিভিন্ন লোকজন গিয়ে ধুমপান করে,লার্নিং সেন্টারের স্টুডেন্টরাও পাঠশালা ছেড়ে সেখানে টিভি দেখতে চলে যায়,অনেকে আমাকে বারবার অভিযোগ করায় আমি তাকে নিষেধ করি,সে টিভি সরাবে ও বলেছে। পরে আমাকে পরিকল্পিতভাবে কিছু একটা করার চেষ্টা করছিল তারা। এ ঘটনায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মধ্যস্থতায় তাকে মুসলেকায় ছাড় দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রাং পুটিবনিয়া ২২ নং ক্যাম্প এলাকায় চাকমাপল্লীতে ২৮টি নৃগোষ্ঠী পরিবারের বসবাস রয়েছে।
Leave a Reply