সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫০ পূর্বাহ্ন
দুটি কয়লাভিত্তিক ও একটি এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ৩৯০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি)। বুধবার (১১ মে) ‘বাংলাদেশে কয়লা ও এলএনজি বিদ্যুৎ প্রকল্প: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এক গবেষণা প্রতিবেদনে বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
এসব প্রকল্পে জমি ক্রয়-অধিগ্রহণ-ক্ষতিপূরণে দুর্নীতি হয়েছে বলে টিআইবির ওই গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি বলছে, এই টাকা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ভূমি অধিগ্রহণ শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারী, এনজিওকর্মী ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশের পকেটে গেছে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বরিশালের ৩৫০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র ও কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর গবেষণাটি করা হয়েছে। এটি মূলত গুণগত গবেষণা। গবেষণার সময়কাল ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল।
গবেষণাটি করতে গিয়ে সরকারি দফতর, স্থানীয় জনগণ, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয় এবং গবেষণায় তিনটি প্রকল্পেই দুর্নীতি হয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।
জমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ দিতে গিয়ে চট্টগ্রামের বাঁশখালী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে উল্লেখ করে আরও বলা হয়, এই প্রকল্পে ২৫৫ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। কক্সবাজারের মাতারবাড়ীর এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুকেন্দ্রে ভূমি কেনাবেচায় দুর্নীতি হয়েছে ১১৯ কোটি টাকা। আর ১৬ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বরিশালের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জমি অধিগ্রহণে।
ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জমান। টিআইবির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মাহ্ফুজুল হক ও রিসার্চ ফেলো নেওয়াজুল মাওলা প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
Leave a Reply