শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১৮ পূর্বাহ্ন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, বাণিজ্যিক ফ্লাইট বাতিল করায় দেশে আটকেপড়া সৌদি আরবে কর্মরতদের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কিছুই করা নেই। অনেকের চাকরি চলে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। আবার বাংলাদেশি পাসপোর্টে থাকা রোহিঙ্গাদেরও ফেরত দিতে চায় সরকার।
সৌদির বাণিজ্যিক ফ্লাইট বাতিল হওয়ার কারণে দেশে আসা সৌদি কর্মরতদের না যেতে পারার কারণ জানতে চাইলে আজ মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তিনি এ কথা বলেন।
সৌদি প্রবাসী যারা এসে যেতে পারছে না তাদের বিষয়ে কি ব্যবস্থাপনা নিচ্ছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে আমরা বলতে পারবো না এই বিষয়টা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়য়ের।
সৌদি আরব থেকে কোভিডের সময় অনেকে দেশে ফিরেছিলেন, সেখানে কোনও ফ্লাইট না থাকায় তারা ফিরে যেতে পারছেন না। এখন শুনলাম ৩০ তারিখের মধ্যে সৌদি যেতে না পারলে ওয়ার্ক পারমিট থাকবে না। বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যতগুলো ফ্লাইট যাওয়ার কথা ছিল বিমানের সবগুলো নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। শুধু বাংলাদেশ না সব দেশের ফ্লাইটিই নিষিদ্ধ। আবার তাদের দেশে কোভিড দেখা দিচ্ছে তার জন্য তারা সারা দুনিয়ার ফ্লাইট বন্ধ করে দিচ্ছে’।
তিনি বলেন, ‘একটা পসিবলটি চাটার ফ্লাইট, তবে চাটার ফ্লাইটে অনেক দাম পড়ে। সৌদি আরব বলছে তাদের ফ্লাইট নিয়ে আসবে। তবে সৌদি আরব অন্যদিকে চাপ দিচ্ছে, সেখানে সৌদি আরবে ২ লক্ষ্যর বেশি রোহিঙ্গা আছে। ৫৪ হাজার রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছিল তাদের ফেরত দিতে চায় তারা।
আমরা এগুলো জানিও না। ওরা (রোহিঙ্গা) অনেকে ৮০ থেকে ৯০ সালে সৌদি আরব গিয়েছে। তখন ওই দেশের রাজা নাকি বলেছিল রোহিঙ্গারা আসুক। সেই সূত্রে ওরা (রোহিঙ্গা) যায় সেখানে।
তাদের ছেলে মেয়ে ওখানে বড় হয়েছে, তারা আরবি ছাড়া কিছুই জানে না। কিন্তু সৌদি সরকার বলছে রোহিঙ্গা মানে বাংলাদেশের, এদের তোমারা নিয়ে যাও। আমরা বলছি ন্যাশনালটি না হলে আমরা নিতে রাজি না। সৌদি আরব বলছে তোমাদের যে ২২ লক্ষ্য আছে তাদের সব ফেরত দিয়ে দিবো এছাড়া নতুন কাউকে নিবো না, এরকম একটা ঝামেলা হচ্ছে’।
তিনি আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করেছি। তারা বলছে ৫৪ হাজার রোহিঙ্গাকে আগে নিয়ে যাওয়ার পর কথা বলব। তবে তারা এখন কিছু বলছে না। তবে আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত আছে’।
Leave a Reply