বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
উনছিপ্রাং বড় মাদরাসায় স্থানীয় সাংবাদিক ও গুনীজনদের সম্মানে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন উনছিপ্রাং এ ইসলামী আন্দোলনের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন তা’মীরুল উম্মাহ বালিকা মাদরাসায় দাখিল পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন হোয়াইক্যং কওমী মাদরাসা পরিচালক পরিষদের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন  দুবাইয়ে সংবর্ধিত হলেন খেলাফত মজলিশ নেতা মাওলানা আবছার উদ্দিন চৌধুরী নয়াবাজারে হাজী আসমত আলী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল সমপন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দু’গ্রুপের গোলাগুলি, নিহত ১ পালংখালীতে আলোর ছোঁয়া ফ্রেন্ডশিপ ক্লাবের দোয়া ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন আড়াইহাজারে ইউপি চেয়ারম্যানের অ্যাকাউন্টে ১৪ হাজার৩৭৬ কোটি টাকার লেনদেন
ইয়াবা লুটপাটের প্রতিশোধ নিতে ৫ জন কে অপহরণ

ইয়াবা লুটপাটের প্রতিশোধ নিতে ৫ জন কে অপহরণ

ইয়াবা লুটপাটের প্রতিশোধ নিতে ৫ জন কে অপহরণ::
হোয়াইক্যং এর লম্বাবিলে ৩ কোটি টাকার ইয়াবা,স্বর্ণ লুটপাটের ঘটনা শেষ হতে না হতেই আবারো একই ইউনিয়নের তুলাতলী খারাইংগা গুনায় ৮০ হাজার পিচ ইয়াবা লুটপাট!
নিজস্ব প্রতিবেদক:; (ছবি আছে-৩টি)
টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লম্বাবিলে প্রায় ৩ কোটি টাকার ইয়াবা,স্বর্ণ লুটপাটের ঘটনা শেষ হতে না হতেই আবারো একই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড তুলাতলী খারাইংগা গুনায় ৮০ হাজার পিচ ইয়াবা লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা বলে জানা গেছে। এদিকে ইয়াবা লুটপাটের এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে রোহিঙ্গারা তুলাতলী খারাইংগা গুনা এলাকার ৪ মাদককারবারী কে অপহরণ করেছে। এ ঘটনায় অপর এক যুবক কে বার্মায় আটক রেখেছে রোহিঙ্গারা। সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি-২০২১ (বৃহস্পতিবার) ভোর রাতে টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত হোয়াইক্যং ইউনিয়নের তুলাতলী খারাইংগা এলাকা থেকে ২০ হাজার ইয়াবার এই চালানটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়ন এর খারিঙ্গাঘোনা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মো: হোসেন ও আনোয়ার হোসেন এর বসত বাড়িতে ইয়াবার একটি চালান মজুদ রয়েছে।
উক্ত সংবাদের তথ্য অনুযায়ী, হোয়াইক্যং পুলিশের এসআই মুজিবর এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঐ বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ঘরের ভিতরে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা ২০ হাজার ইয়াবাবর্তী একটি পোটলা উদ্ধার করে। পরে পুলিশ সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে।
এদিকে সর্ব শেষ খবরে জানা যায়, উক্ত এলাকার মৃত আবুল মঞ্জুর এর পুত্র মো: হোসেন ও আনোয়ার হোসেন এর উক্ত বসত বাড়িতে রোহিঙ্গাদের ১ লাখ ইয়াবা জমা ছিল। সাইফুল ইসলাম(১৫) পিতা: মৃতু আব্দুল খলিল নামক এক যুবক কে বার্মায় ইয়াবার মূল মালিকের কাছে জমা রেখে গত ১৭ ফেব্রুয়ারী খারাইংগা ঘুনা সীমান্ত অত্রিক্রম করে মো: হোছন ও আনোয়ার হোসেন সহ অপর ইয়াবার পার্টনার ধলাইয়্যা, পিতা: গুরা মিয়া, মুস্তাফিজ পিতা: রশিদ আহমদ ,জাহেদ আলম পিতা মির আহাম্মদ। যৌথ ভাবে ১ লাখ পিচ ইয়াবা জমা রাখে। তারা এক পর্যায়ে লোভের বশিভূত হয়ে জনৈক চৌকিদারের মাধ্যমে পুলিশ কে ২০ হাজার পিচ ইয়াবা মওজুদ আছে মর্মে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মো: হোসেন এর বাড়ি ঘেরাও করে ২০ হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার করে। বাকি ৮০ হাজার ইয়াবা এলাকার কারবারীরা সকলে মিলে ভাগ ভাটোয়ারা করে। অপরদিকে রোহিঙ্গাদের কে পুলিশের হাতে সব ইয়াবা ধরা পড়ে মর্মে অপপ্রচার চালায়। ইয়াবার মূল মালিক রোহিঙ্গারা এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উক্ত সিন্ডিকেটের ৪ জন কে জামাই আদরের ভাঁন করে চাকমারকুল ক্যাম্পে আসতে বলে। তারা সে খানে পৌছামাত্র কমান্ডো ষ্টাইলে তাদের অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। ২০ ফেব্রুয়ারী রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা নিখোঁজ রয়েছে। এ বিষয়ে খুজ নিতে সাংবাদিক ও গোয়েন্দা কর্মীরা মীর আহমদের পুত্র জাহেদ আলমের বাড়িতে গেলে তার স্ত্রী জানায়,আমার স্বামী কে কে বা কারা ধরে নিয়ে গেছে! এর চেয়ে বেশি কিছু আমি জানিনা। সর্বশেষ খবরে স্থানিয় রা জানায়,রোহিঙ্গাদের সাথে দরকষাকষি চলছে। মাল(ইয়াবা) ফেরত দিলে তাদের কে ছেড়ে দিবে। অপরকিকে মিয়ানমারে আটকে রাখা সাইফুল ইসলামের মাতা জাহেদা বেগম তার ছেলে কে উদ্ধারের জন্য রাস্তায় রাস্তায় বিলাপ করছে। জাহেদা বেগম জানায়,তার ছেলে দোকানে কেরাম খেলছিল। স্থানিয় মাদকের গডফাদার বর্মাইয়্যা জামাল পিতা: মুফছের আহমদ, জাহেদ আলম পিতা: মীর আহমদ ডেকে নিয়ে নৌকায় করে বার্মায় নিয়ে যায়। সে এখনো নিখোঁজ রয়েছে। এ ব্যাপারে হোয়াইক্যং পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হলে দায়িত্বরত আইসি প্রতিবেদক কে জানান, বার্মায় এক যুবক আটক থাকার বিষয় শুনেছি। অন্য কেউ নিখোঁজ থাকার বিষয় জানিনা। কেউ অভিযোগ নিয়ে ও আসেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
এদিকে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মাদকের অন্যতম পয়েন্ট তুলাতলী খারাইগা ঘুনা এলাকায় ১৫/১৬ জনের মাদকের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। ছাবের আহমদ পিতা: ছৈয়দ আহমদ, মো: নাছির পিতা: হাবিুবুররহমান, হোছন আহমদ পিতা: ফরিদুল্লাহ, আজিজুল হক প্রকাশ কেরাবেইন্যা, পিতা: আয়ুব আলী, ফায়সাল পিতা: হোছন আহমদ, নুরুল আলম,পিতা:মীর আহমদ, ইসলাম পিতা: হোছন শরীফ, জামাল (বর্মাইয়া) জামাল, পিতা: মুফছের আহমদ,জাহেদ আলম,পিতা মীর আহমদ, ইউসূফ আলী,পিতা: আবুল মিস্ত্রি, সহ তাদের বিশাল একটি ইয়াবার সিন্ডিকেট রয়েছে বলে স্থানিয় একাধিক মহল জানায়। এ ছাড়া জসীমউদ্দীন পিতা ইসমাইল প্রকাশ ডিম বিয়ারী শাহাব উদ্দিন এর ছোট ভাই। শাহাবুদ্দিন এলাকার বাইরে থাকলেও তার ব্যবসার মূল নায়ক জসিম উদ্দিন বলে জানা গেছে। স্থানিয় বিভিন্ন পেশার লোকজন জানায়, তারা প্রতিনিয়ত ইয়াবা,বিয়ার, মদ,কফি,কাপড় ইত্যাদি নিষিদ্ধ পন্য মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে এনে মওজুদ ও পাচার করে থাকে। তাদের কারণে সকলের বদনাম হচ্ছে এলাকায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design By Bangla Webs