শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:৫৫ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
এক বছরে কর্মহীন দেড় কোটি মানুষ

এক বছরে কর্মহীন দেড় কোটি মানুষ

বেসরকারি একটি বিনোদন পার্কে চাকরি করতেন মাহফুজুর রহমান। করোনার বিস্তারে পার্কটি বন্ধ হয়ে গেলে তার চাকরি চলে যায়। পুরান ঢাকার বাসিন্দা মাহফুজ আর ওই প্রতিষ্ঠানে ফিরতে পারেনি।

মাহফুজের মতো সারা দেশে (প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত) এক কোটি ৪৪ লাখ কর্মী কাজ হারিয়েছেন অর্থাৎ তারা আর কাজে ফিরতে পারেননি। করোনায় কর্মহীনদের নিয়ে অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাতের গবেষণায় উঠে এসেছে এ তথ্য।

এরই মধ্যে শুরু হয়েছে আট দিনের দ্বিতীয় দফা ‘সর্বাত্মক লকডাউন’। এতে অনেকে নতুন করে কর্মহীন হয়েছেন। ফলে বেকারের তালিকা আরও দীর্ঘ হবে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। আশঙ্কা করা হচ্ছে নতুন করে কর্মহীন হয়ে পড়বে প্রায় চার কোটি মানুষ।

করোনায় কর্মহীনদের নিয়ে গবেষণা করেছেন অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাত। এতে দেখানো হয়, দেশে কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে ৬ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার মানুষ কর্মে নিয়োজিত ছিলেন।

শুধু লকডাউনের কারণে কর্মহীন হয়েছেন ৩ কোটি ৫৯ লাখ ৭৩ হাজার ২৭১ জন। অর্থাৎ মোট কর্মগোষ্ঠীর ৫৯ শতাংশই কর্মহীন হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেকার হয়েছে সেবা খাতে।

এ প্রসঙ্গে ড. আবুল বারকাত যুগান্তরকে জানান, কাজ হারানোদের ৪০ শতাংশ কাজ ফিরে পাবে না। তাদের জন্য তিনি সরকারের কাছে বেকারদের ভাতা চালুর সুপারিশ করেছেন। তবে সাময়িক ভাতা দেওয়ার চেয়ে শ্রেয় হবে তাদের কাজ দেওয়া। তিনি বলেন, করোনার প্রভাবে আগামীতে কর্মসংস্থানের প্যাটার্নও পাল্টে যাবে। গুরুত্ব বাড়বে প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষতাভিত্তিক কর্মসংস্থানের। সেদিকে সরকারকে নজর রাখতে হবে।

বিআইডিএস’র সাবেক মহাপরিচালক এমকে মুজেরি যুগান্তরকে বলেন, করোনার প্রভাব দীর্ঘদিন হওয়ায় গরিব মানুষের অবস্থা খুবই খারাপ। অনেকে বেকার হয়েছেন, নতুন করে কাজে ফিরতে পারছেন না।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design By Rana