কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের সময় বিমানের ধাক্কায় দুই গরুর মৃত্যুর ঘটনায় ৪ আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

একইসঙ্গে এ ঘটনায় চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

বুধবার কক্সবাজার বিমানবন্দরের ম্যানেজার গোলাম মোর্তুজা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মোর্তজা হোসেন বলেন, বিমানবন্দরের সীমানাপ্রাচীর এলাকায় দায়িত্বে থাকা চার সদস্যকে দায়িত্বে গাফিলতির কারণে প্রত্যাহার করা হয়েছে। কমিটির সদস্যদের সুপারিশের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার আগে রানওয়ে ১৭ নং ডেল্টা পোস্টের সামনে দিয়ে উড্ডয়নের সময় আশেপাশে চরা দুটি গরুর সঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ৪৩৪, বোয়িং নম্বর ফ্লাইটের ডানদিকের ডানায় ধাক্কা লাগে। এতে দুটি গরু ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

তবে সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে বিমানটি নিরাপদে ঢাকার হযরত শাহজালালা আন্তর্জাতিক অবতরণ করেছে বলেও জানিয়েছে ওই সূত্রটি।

কক্সবাজার বিমানবন্দরে নিয়োজিত ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক  জানান, বিমানের ফ্লাইটটি মঙ্গলবার উড্ডয়নের সময় ডান পাশের পাখায় ধাক্কা লেগে ছিটকে পড়ে গরু দুটি। সেখানেই সেগুলো মারা যায়। তবে উড়োজাহাজটি ৯৪ যাত্রী নিয়ে সফলভাবেই উড্ডয়ন করে।

উল্লেখ্য ২০০৫ সালে কক্সবাজার বিমানবন্দরের উত্তরে বঙ্গোপসাগরে একটি কার্গো উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে বিদেশি পাইলটসহ তিনজনের মৃত্যু হয়। কার্গো উড়োজাহাজটি কক্সবাজার থেকে চিংড়ি পোনা নিয়ে যশোর যাচ্ছিল। এ ছাড়া ২০১৭ সালে একটি বেসরকারি উড়োজাহাজের চাকায় পিষ্ট হয়ে রানওয়েতে তিনটি কুকুরের মৃত্যু হয়।