বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
মালয়েশিয়ায় ৬টি পিস্তল সহ ইসরায়েলি নাগরিক আটক: দেশজুড়ে সতর্কতা জারি বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে সৌদি আরবের ১৪০ কোটি ডলার বিনিয়োগ ভুটানের রাজাকে সঙ্গে নিয়ে কেক কাটলেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ছিনতাইকালে ধরা পড়া দুই পুলিশ সদস্য রিমান্ডে! ২৮ মার্চ জেলা ইসলামী আন্দোলন ইফতার মাহফিল হোটেল অস্টারইকো তে। মিয়ানমারে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বিদ্রোহীরা প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে মোস্তাফিজ ও বাবুল মিয়ানমারের গ্যং স্টারের বাংলাদেশি সহযোগি হোয়াইক্যং এর দালালরা অধরায়! সাড়ে ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা টেকনাফে প্রবেশের অপেক্ষায়! হ্নীলা উম্মে সালমা মহিলা মাদরাসায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
টেকনাফে এক মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের বিরুদ্ধে প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা

টেকনাফে এক মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের বিরুদ্ধে প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ড্রেইন ও সরকারী জমিতে দোকান নির্মানেরর অভিযোগ সত্য নয়. দাবী মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আশরাফ আলীর।

বার্তা পরিবেশক: সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকা ও কয়েকটি ভুঁইফোড় (আন-রেজিষ্ট্রার্ট) অনলাইন পোর্টালে “আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে টেকনাফে সরকারী জমিতে দোকান নির্মাণ” শীর্ষক সংবাদ খানা আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদটি রীতিমত হাস্যকর ও ভিত্তিহীন। আমি উক্ত সংবাদের তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।সে সাথে প্রকাশিত সংবাদে বর্ণিত বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করছি। আমি প্রতিবাদকারী আশরাফ আলী একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমার গর্বিত পিতা স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ কারী স্বীকৃতপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। উক্ত সংবাদে দেওয়া তথ্যে জানা যায়, সরকারী অর্পিত সম্পত্তি ১৯৬৯- ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত সরকারী ভাবে উক্ত দাগের জমির খাজনা আদায় করে আসছিল মৃত আব্দুল হালিমের পুএ মৃত আবদুল ওয়াছের গং পক্ষ। সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধিগ্রহণকৃত ১৩ শতক জমি যাহার তফসিল নং আর এস দাগ ৫৫৬০ এর বিএস দাগ ৪৫২,৪৫৩ এর ৬৭১ এর বিএস খতিয়ানের ৮৮৫ নং কবলা ভূয়া ও মিথ্যা বানোয়াট ভাবে সৃজন করে সরকারি জমি আমি মুক্তযোদ্ধার সন্তান আশরাফ আলী গ্রাস করে জবর দখল করে নির্মাণ কাজ করছি। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও কাল্পনকি। যাহা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার শামিল। প্রকৃত পক্ষে উক্ত জমি মহকুমা প্রশাসক এর আদেশে জনৈক থোয়েমে মগিনীর বায়ামুলে প্রাপ্ত সম্পত্তি ৬/০২/৮৪ ইং সালে ৮৮৫ নং রেজি: কবলা মূলে মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আয়ূব আলীর স্ত্র রহিমা খাতুন ও পুত্র মো: ইয়াকুবের নামে রেজি: করিয়াছেন। বিগত ৬/২/৮৪ ইং সালে ৮৮৫ নং রেজি: কবলা মূলে মরহুম আয়ুব আলীর স্ত্রী ও পুত্রের নামে ১৯৮৮-৮৯ ইং সালের ১নং নামজারী মামলা মূলে বিগত ১০/৮/৮৮ ইং তারিখে এম, আর, আর ১২৭১নং খতিয়ানে নামজারী করেন এবং সরকার বরাবর খাজনা আদায় করিয়া দাখিলা প্রাপ্ত হন। অত্যান্ত দু:খজনক হলেও সত্য যে, ২৬/৩/১৯৯০ ইং তারিখে নাফনদীতে নৌকা ডুবিতে স্ত্রী রহিমা বেগম ও পুত্র ইয়াকুবসহ ৪ পুত্র ও কন্যা একত্রে দূর্ভাগ্যবসত মৃত্যু বরন করিলে উক্ত কবলার জমি মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আয়ূব আলী প্রাপ্ত হন। তখন থেকে অত্র জমিতে মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আয়ূব আলী যথাযথ আইনী প্রক্রিয়ায় ভিটির পূর্বাংশে একতলা পাকা ভবন নির্মান করে পশ্চিমাংশে আধা পাকা টিনের ছাউনিযুক্ত বসতবাড়ী নির্মাণ করিয়া ভোগ দখল করিতে থাকে। উল্লেখ্য যে, মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আয়ূব আলীর নামে ওই জমিতে বসত গৃহসহ সরেজমিনে ভোগদখল থাকা অবস্থায় বিএস ৬৭১ নং খতিয়ানের বিএস ৪৫৩ দাগের আন্দর ০৬ শতক জমি সরকারের নামে বিএস ১৬৩৮ খতিয়ানের বিএস ৪৫২ দাগের ০২/১ শতক জমি ও বিএস৭৭৯ নং খতিয়ানের বিএস ৪৫৮ নং দাগের ০২/১ শতক জমি লিপি ও প্রচারিত হয়। সরকারের নামে বিএস ১৬৩৮ ও বিএস ৭৭৯ নং খতিয়ানের লিপি ও প্রচার সর্ম্পর্ণ ভুল লিপি হয়। পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আয়ূব আলী জনৈক থোয়েমা মগিনী হতে বে-রেজিষ্ট্রি কবলা মুলে খরিদা জমির জন্য এন্তেকালী, খাজনা আদায়, এবং নানা প্রকার অসুবিধার জন্য পুনরায় রেজিষ্ট্রি কবলা মুলে থোয়েমা মগিনীর নিকট হইতে কবলা রেজিষ্ট্রি করার সিদ্ধান্ত হলে কক্সবাজার মহকুমা প্রশাসক

কার্যালয়ে ২০/৮৩-৮৪ ইং দরখাস্ত রুজু হয়। মহকুমা প্রশাসক এর আদেশে থোয়েমে মগিনীর প্রাপ্ত সম্পত্তি ৬/০২/৮৪ ইং সালে ৮৮৫ নং রেজি: কবলা মূলে মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আয়ূব আলীর স্ত্র রহিসা খাতুন ও পুত্র মো: ইয়াকুবের নামে রেজি: কবলা সম্পন্ন হয়। যাহার বিস্তাতির উক্ত কবলা ও উপরে সামান্য বর্ণিত রয়েছে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আয়ুব আলীর নামেদিয়ারার খতিয়ান ২০৭ নং চুড়ান্ত প্রচার রহিয়াছে। সে হিসাবে আমি ও আমার মাতা উক্ত জমিতে বসতগৃহ নির্মাণ করিয়া ভোগ দখলে এখনো আছি। আমি আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ড্রেইন ও সরকারী জমিতে দোকান নির্মান করছি বলে যা উল্লেখ করা হয়েছে তাও সম্পূর্ণ মিথ্যা। মূলত ফুটপাত ও ড্রেইনের পূর্বে আমার বসতবাড়ী, ভিটে জমি ও নির্মানাধীন দোকান। বহুবছর আগেই দোকান গুলো নির্মাধীন ছিল এবং বসত বাড়ীটি আমার পিতার জীবদ্দশায় নির্মিত। আমার প্রতিবেশী যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তারা রোহিঙ্গা বংশভো স্বাধীনতার পুর্বে মিয়ানমার থেকে এসে সরকারী (ভিপি) জমির উপর বসত বাড়ী শুরু করে এবং আমার পিতার খরিদা সুত্রে ভোগদখলীয় ও খতিয়ান ভুক্ত জমির উপর বর্তমানে জমির মূল্য বুদ্ধি পাওয়ায় তাদের লোলুপদুষ্টি পড়ে আমাকে হয়রানীর উদ্দেশ্যে আদালতে একটা মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। ওই অভিযোগের ভিক্তিতে মাননীয় সহকারী কমিশনার (ভূমি) টেকনাফ সরেজমিন তদন্ত করেছেন। আমি যাবতীয় ডুকুমেন্ট তদন্ত কর্মকর্তা ও আদালতে সোপর্দ করেছি। এবং আদালতের পরবর্তী নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। এরই মাঝে গত কিছুদিন ধরে প্রতিবেশী মাদকাসক্ত ও মাদক মামলার আসামী (জামিনে বের হয়ে)সহ সংঘবদ্ধ কয়েকজন আমার কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে আমি উক্ত চাঁদা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করিলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে আমাকে সামাজিক ভাবে মানক্ষুন্ন ও হেয় করার চেষ্টা করিতেছে। আমি প্রকাশিত উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে এ জাতীয় মিথ্যা মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রঞন করিতে বাধ্য থাকিব। প্রকাশিত সংবাদে আইনর্শংখলা বাহিনী ও সুশীল সমাজকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ রইলো।

নিবেদক
আশরাফ আলী
পিতা- মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আয়ূব আলী,
সাং-খায়ূক খালী পাড়া, ৩নং ওয়ার্ড, টেকনাফ পৌরসভা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design By Rana