মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
টেকনাফ থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে ১৩৮০ পিস ইয়াবা সহ গ্রেফতার-১ হোয়াইক্যং এর মিনাবাজারে টমটম গ্যারেজে আগুন: চনের গুদাম ও নোহাগাড়ী পুড়ে ছাই ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে প্রথম ধাপে ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার বিনা খরচে মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশিদের পড়ার সুবর্ণ সুযোগ টেকনাফের খারাংখালীতে ভাসুরের হাতে গৃহবধূ খুন উনছিপ্রাং বড় মাদরাসায় স্থানীয় সাংবাদিক ও গুনীজনদের সম্মানে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন উনছিপ্রাং এ ইসলামী আন্দোলনের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন তা’মীরুল উম্মাহ বালিকা মাদরাসায় দাখিল পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন হোয়াইক্যং কওমী মাদরাসা পরিচালক পরিষদের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন 
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ, হাইকোর্টের রায় বহাল

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ, হাইকোর্টের রায় বহাল

বহুল আলোচিত বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করেছেন আপিল বিভাগ।

এর ফলে এখন থেকে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা ‘সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল’র হাতে ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। রবিবার (২০ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৬ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

গত ১৫ আগস্ট বিচারপতিদের অপসারণে সংসদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ করে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন শুনবেন বলে জানিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে রাষ্ট্রপক্ষের রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছিল। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ দিন ধার্যের আদেশ দেন।

এর আগে ১৯৭২ সালে প্রণীত মূল সংবিধানে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ছিল। ১৯৭৫ সালের ২৪ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এ ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে অর্পণ করা হয়। পরে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা দেওয়া হয় সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের কাছে। মার্শাল প্রক্লেমেশনে করা পঞ্চম সংশোধনীতে এক্ষেত্রে ৯৬ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনা হয়েছিল।

পরে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ষোড়শ সংশোধনীতে সেটা বাতিল করে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয় সংসদকে। বিলটি পাসের পর একই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।

সংবিধানের এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নয় আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ৯ নভেম্বর এ সংশোধনী কেন অবৈধ, বাতিল ও সংবিধান পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

রুল শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ৫ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ।
রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পাওয়ার পর ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি এ বিষয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ৩ জুলাই হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে সর্বসম্মতিক্রমে চূড়ান্ত রায়টি দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ। পরবর্তীতে একই বছরের ১ আগস্ট ৭৯৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশিত হয়।

ওই রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। এরপর কয়েক দফা মামলাটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসলেও রিভিউয়ের শুনানি হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design By Bangla Webs