বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন
নয়াবাজারে হাজী আসমত আলী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল সমপন্ন:
নিজস্ব প্রতিবেদক :
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইকং ইউনিয়নের নয়াবজারে হাজী আসমত আলী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে স্থানিয় আলেম ওলামা,শিক্ষক সহ নানা পেশার মানুষের সম্মানে এক ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে পবিত্র কোরআন তিলায়াত করেন হাফেজ মোহাম্মদ ইসমাইল।
ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন আমিনুল ইসলাম।
হোছাইন আহমদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বাহারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক সৈয়দ আবদুল মালেক।
এতে বক্তব্য রাখেন –
বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী হোয়াইক্যং ইউনিয়ন শাখার বাইতুলমাল ও সাংগঠনিক সেক্রেটারী নুরুল আলম,
মাস্টার শাহ আলম
সেক্রেটারী বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী হোয়াইক্যং ইউনিয়ন শাখা।
এতে প্রধান মেহমান হিসাবে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মুফিজ আহমদ ইকবাল উপধ্যক্ষ-গণিয়তুল উলুম ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা,চট্রগ্রাম।
উক্ত ইফতার মাহফিলে প্রধান অথিতি হিসাবে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মোহাম্মদ ইব্রাহিম, আমাীর বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী হোয়াইক্যং ইউনিয়ন শাখা।
ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী মোহাম্মদ হোছাইন, মৌলানা আবদুল মালেক
সিনিয়র শিক্ষক মজিদিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা। হাফেজ ইয়াকুব,নায়েবে আমীর বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী হোয়াইক্যং ইউনিয়ন শাখা। হাফেজ জকির,সিরাজুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইসসাইল,আবদুল আজিজ, আবদু রহিম, কবি এম এরশাদুর রহমান, মাস্টার আরফাত
সৈয়দ হোসেন, হাফেজ নুরুল হোসেন, মোহাম্মদ ওয়াহিদ মৌলানা ইসহাক। মাস্টার সাকের, মাস্টার মুকুল,আবু বক্কর যুব সভাপতি যুব সেক্রেটারী মোহাম্মদ সাকের সহ মিডিয়া কর্মী ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
উক্ত ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন হাজী আসমত আলী ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ নুরুল আমিন (এম,এ,এলএল.বি)
ইফতারের পূর্বে মোনাজাত পেশ করেন মাওলানা আয়ুব আনসারী,খতীব নয়াবাজার স্টেশন জামে মসজিদ।
বক্তার মাহে রমজানের ফজীলত, তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, রমজানের ফজিলত ও গুরুত্ব রমজান মাস সারা বছরের মধ্যে শ্রেষ্ঠ, রমজান বরকতময় মাস।
রমযান মাস রহমত, বরকত, মাগফিরাত, জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাত লাভের মাস। তাই এমন মাস পেয়েও যে ব্যক্তি স্বীয় গুনাহ মাফ করাতে পারল না তার জন্য স্বয়ং জিবরাঈল আ. বদদুআ করেছেন এবং নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাহমাতুল্লিল আলামিন হয়েও আমীন বলে সমর্থন জানিয়েছেন। হাদীস শরীফে এসেছে- ‘নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বরে উঠে আমীন, আমীন, আমীন বললেন। তাঁকে বলা হল, হে রাসূল! আপনি তো এরূপ করতেন না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, জিবরাঈল আমাকে বললেন, ঐ ব্যক্তি ধ্বংস হোক যে পিতা-মাতা উভয়কে অথবা একজনকে পেয়েও (তাদের খেদমত করে) জান্নাতে প্রবেশ করতে পারল না। তখন আমি বললাম, আমীন। অতঃপর তিনি বললেন, ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক যে রমযান পেয়েও নিজের গুনাহ মাফ করাতে পারল না। আমি বললাম, আমীন। জিবরাঈল আবার বললেন, ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক যার নিকট আমার নাম আলোচিত হল অথচ সে আমার উপর দুরূদ পড়ল না। আমি বললাম, আমীন।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে রমযানের হক আদায় করার তওফীক দান করুন এবং নবীজীর অভিসম্পাৎ থেকে রক্ষা করার তৌফিক দিন।
Leave a Reply