বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৪ অপরাহ্ন
টেকনাফ নাইট্যংপাড়ায় পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান: ১৯ জন মায়ানমারের নাগরিক সহ ৪ মানব পাচারকারী আটক:
নিজস্ব প্রতিবেদক:
গতকাল ২৬/৫/২০২৩ রাত ১১টায় গোপন সংবাদে ভিত্তিতে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ টেকনাফ পৌরসভা ১ নং ওয়ার্ড নাইট্যং পাড়া আমিন শরীফের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১৯ জন মায়ানমারের নাগরিককে উদ্ধার করা হয়। । এদের মধ্যে ৬ জন নারী, ৬ জন পুরুষ, ৭ জন শিশু রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ৪ জন মানব পাচারকারী দালালকে আটক করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
জানা যায়, টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যং পাড়া ও বরইতলীর মানব পাচারকারীদের
একটি সিন্ডিকেট বিভিন্ন ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের সংগ্রহ করে এনে নাইট্যংপাড়া ও বরইতলীর কয়েকটি গোপন আস্তানায় জমা রেখে সুযোগ মতে রোহিঙ্গাদের সাগর পথে মালয়েশিয়া পাচার করত।
জনশ্রুতি রয়েছে জনৈক সাগুর পুত্র বর্মাইয়্যা ইউনুছ পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে, পুলিশ ম্যানেজ করার কথা বলে বিভিন্ন সময় টাকা আদায় করত। মানবপাচারের বিরুদ্ধে নাইট্যং পাড়ায় পুলিশ অভিযানে গেলে আটককৃত দালাল দ্বীন ইসলামের স্ত্রী মিনারা ওরফে মিনু জোর গলায় কেঁদে কেঁদে জনসমক্ষে বলেন,পুলিশের জন্য সাগুর পুত্র ইউনুছ কে ৫ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। তবু কেন আমার স্বামী কে পুলিশ আটক করলো? এই বলে আহাজারি করেন।
গতকাল রাতে পুলিশ অভিযানে গেলে বেরিয়ে আসে নানা গোপন তথ্য।
এদিকে গতকাল রাতে নাইট্যং পাড়া সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে পাচারের উদ্দেশ্যে কিছু রোহিঙ্গা মওজুদ করার খবর পেলে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল হালিমের নির্দেশে পুলিশের একটি আভিযানিক দল পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড নাইট্যংপাড়ায় মানবপাচারকারীদের ঘাঁটিতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। অভিযান চলাকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাবপাচারের মূল গডফাদার পালিয়ে গেলে ও পুলিশ হাতে নাতে ৪(চার) মানবপাচারকারী সহ ১৯ জন কে আটক করতে সক্ষম হয়।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল হালিম সাংবাদিকদের জানায়,তাদের বিরুদ্ধে মামলার পক্রিয়া চলছে। মাদক ও মানবপাচারের সাথে কোন আপষ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, মানবপাচারের মূল গডফাদারদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে।
Leave a Reply