বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২০ অপরাহ্ন

আশফাকের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম ! সড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে সর্বমহল কে এগিয়ে আসতে হবে

আশফাকের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম ! সড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে সর্বমহল কে এগিয়ে আসতে হবে

বিশেষ সম্পাদকীয় ::
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং বিজিবি চেকপোষ্ট সংলগ্ন আশফাকের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম!
হোয়াইক্যং বাজার পরিচালনা কমিটির সদস্য ব্যবসায়ী মানিক মিয়ার একমাত্র পুত্র আশফাক(৬)এর অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে হোয়াইক্যং সহ পুরো উপজেলায়। স্নেহের একমাত্র সন্তানের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না বাবা-মা ও আত্মিয় স্বজন। ভবিষ্যতে আশফাকের মতো নিস্পাপ শিশুর যাতে এমন মৃত্যু না হয়, দাবি এলাকাবাসী ও হোয়াইক্যং এর সামাজিক,রাজনৈতিক ও ক্রীড়া সংগঠকদের।
সন্তানের এমন অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে আশফাকের পরিবারেও। এর আগে, রবিবার দুপুরে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় আশফাক।
উল্লেখ্য:
টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন এলাকায় (টেকনাফ – কক্সবাজার) মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল এক মাদ্রাসা ছাত্রের। রবিবার (৩ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় হোয়াইক্যং ইউপির ২নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোঃ আশফাক (৬) ঐ ইউনিয়নের মানিক মিয়ার এক মাত্র সন্তান।

পরিবার সূত্রে জানাগেছে, রবিবার সকালে হোয়াইক্যং জামিয়া ইসলামীয়া করিমিয়া নুরানী মাদ্রাসায় ক্লাসে যায় মোঃ আশফাক। বিকালে মাদ্রাসা ছুটির পর বাড়িতে ফেরার পথে রাস্তা পারাপারের সময় বিপরিতগামী একটি টমটম দ্রুতগতিতে এসে তাকে ধাক্কা দিলে ঘটনা স্থলে মারা যায় ছোট এই শিশু আশফাক।

এলাকায় স্বজনদের আহাজারি ও শোকের ছায়া নেমেএসেছে। এ দিকে পিতা – মাতা উভয় এক মাত্র সন্তান হারানোর বেদনায় বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। রাতে স্থানিয় গুরুস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবার।

হোয়াইক্যং হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ
এ কে এম মনজুরুল হক আখন্দ জানান, শুনা মাত্রয় আমরা ঘটনা স্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করি এবং আঘাত টমটম চালক কে আটক করি। পরবর্তীতে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
এদিকে সড়কে এই ধরনের ভয়াবহ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা মানুষ আর দেখতে চায়না।
বেসরকারি সূত্রমতে, প্রতি বছর দেশের সড়কপথে অন্তত পাঁচ হাজার দুর্ঘটনা ঘটছে আর এক বছরেই দেশে মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যায় এবং পঙ্গুত্ব বরণ করছেন এর দ্বিগুণ।

এক্ষেত্রে সরকারি আর বেসরকারি হিসাবের সংখ্যাগত পার্থক্য থাকলেও দেশে যে প্রতিনিয়তই সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অনেক মানুষের প্রাণহানি হওয়াসহ পঙ্গুত্ব বরণের ঘটনা ঘটছে, মোটা অংকের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে; সড়ক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেক সময় ভাংচুর ও নৈরাজ্যের ঘটনা ঘটছে এবং এর ফলে সাধারণ মানুষ যে কঠিন ভোগান্তি আর হয়রানির শিকার হচ্ছে; সেসব বিষয় অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। সড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে সর্বমহল কে এগিয়ে আসতে হবে। ব্যাটারী চালিত টমটমের ব্যাপারে সু স্পষ্ট নীতিমালা দরকার। সড়কে দায়িত্বরত ট্রাফিক, হাইওয়ে পুলিশ কে আরো কঠোর হতে হবে। দক্ষ চালক নির্ণয় করতে হবে।
আসুন আরো স্বচেতন হয়। সতর্ক হই।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design By Rana