এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘‘দেশের প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘অনলাইন স্কুল’ চালু করা হচ্ছে। এই অনলাইন স্কুল পরিচালনায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে (যেসব এলাকার মোবাইল নেটওয়ার্ক রয়েছে) ওয়াইফাইয়ের আওতায় আনা হবে। অনলাইন স্কুলের মাধ্যমে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পাঠদান অব্যাহত রাখা হবে। করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটির কারণে গ্রামের শিক্ষার্থীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে কারণে অনলাইন স্কুল পরিচালনার পাশাপাশি গ্রামের প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেসব শিক্ষার্থী অনলাইনে সুযোগ নিতে পারবে না, তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থায় পাঠদান অবদ্যাহত রাখা হবে।’
তিনি বলেন, ‘তবে এ বিষয়ে সার্বিক পরিকল্পনা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। শনিবারের (২৪ এপ্রিল) বৈঠকে চূড়ান্ত হলে সার্বিক নির্দেশনা জারি করা হবে।’
যেসব এলকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই, সেখানে অনলাইন স্কুল পরিচালনা সম্ভব হবে না। তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান মহাপরিচালক।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরবর্তীকালে কোনও শিক্ষার্থী কোনও কারণে বিদ্যালয়ে যেতে না পারলে সে অনলাইন স্কুল কার্যক্রম থেকে পাঠগ্রহণ করতে পারবে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ দেখতে পারবেন শিক্ষক। তবে অনলাইন স্কুলের সার্বিক চিত্র কী হবে, তার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হলে জানা যাবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, করোনা অতিমারির কারণে দ্রুত বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার বিষয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এ কারণে যদি বিদ্যালয় খুলতে আরও দেরি হয়, সে ক্ষেত্রে অনলাইন স্কুল কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের পাঠ গ্রহণে বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে। পাশাপাশি সেসব এলাকায় শিক্ষকরা সরাসরি অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান সরবরাহ করবেন।
উল্লেখ্য, গত বছর ৮ মার্চ দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দফায় দফায় তা বাড়িয়ে আগামী ২২ মে পর্যন্ত প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা হয়।
Leave a Reply