শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১২ পূর্বাহ্ন
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ শামলাপুরের শুঁটকি ব্যবসায়ী বাবু কোটি টাকার হিসাব মিলাতে মরিয়া।
নিজস্ব প্রতিবেদক::
টেকনাফের বাহারছড়ায় রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ এক শুটকি বেপারীর!
মুখে মুখে সমালোচনার পাল্লায় শুঁটকি ব্যবসায়ী ফজল কাদের (বাবু),
সাম্প্রতিক সময়ে উপকূলীয় অঞ্চলের টেকনাফ বাহারছড়া শামলাপুর সি-আইসি অফিস সংলগ্ন এলাকায় বসবাসরত অঁইন্না বুইজ্যার ছেলে ফজল কাদের বাবু (৩৬)কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ এলাকাজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
এই নিয়ে মাদকবিরোধী মহল তার বৈধ-অবৈধ ব্যবসার বিবরণ দেওয়ার পাশাপাশি তার অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থ/ সম্পদ অর্জনের বিবরণ ও দেন তারা।
স্থানীয়দের দাবি বহিরাগত অইঁন্না বুইজ্যা স্বপরিবারে শূন্য হাতে শামলাপুর এসে এখন কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার কারণ কি জানতেন না এলাকাবাসী।পরে দফায় দফায় ফজল কাদের বাবু ইয়াবার ঘটনায় জড়িত হওয়ার পর থেকে এলাকাবাসী তার অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করেছে, এমনকি কয়েকমাসের মধ্যেই প্রায় অর্ধকোটি টাকার সম্পদ ক্রয় করার ও তথ্য রয়েছে।
এ বিষয়ে তার ভাই আবদুল কাদেরের কাছে গনমাধ্যম কর্মীরা বাবুর বিষয়ে, জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার ভাই ফজল কাদের (বাবু) ইয়াবা ব্যবসা আগে করেছিল এমন শুনেছি তবে এখন করে কিনা তা সঠিক আমি বলতে পারবো না।
যদি ও বা গোপনে করে থাকে তাহলে তার দায়ভার আমি নিতে পারবোনা।
অন্যদিকে স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্য জহুরা নেজাম গনমাধ্যমকে জানান, তার বিরুদ্ধে অনেকের কাছে শুনেছি (বাবু)অবৈধ ব্যবসায় জড়িত আছে, তবে এখন আছে কি না তা সঠিক বলতে পারবোনা।
আমরা এমন ও শুনেছি কিছুদিন আগে ও জালিয়াপালং ইউপিস্থ ইমামের ডেইল অস্থায়ী তল্লাশি চৌকিতে বাবুর শুঁটকি মাছের ঝুড়িতে ইয়াবা পাচারকালে ইমামের ডেইল বিজিবি, চেকপোস্টের সিগন্যাল না মেনে চলে যাওয়ার সময় বিজিবি ধাওয়া করলে বাবু’সহ কয়েকজন পালিয়ে রক্ষা পায় এসময় বাবু এর হাত ও ভেঙ্গে যায়, পরে বাবুর শুঁটকি মাছের গাড়ি তল্লাশি করে ইয়াবা জব্দ করে, ঐ সময় তার শ্যালক ও একজন আটক হয়।
এদিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য জানান তার নাম রদবদল করার পিছনে ও রয়েছে নানা গুঞ্জন। আসল নাম গোপন রেখে চালাচ্ছে বিভিন্ন নামে বেনামে সিমকার্ড, স্থানীয় ইউপি সদস্য আরো বলেন এসব সিমকার্ড ব্যবহার করা হয়, অবৈধ কর্মকান্ডে।
স্থানীয়রা আরো জানান, বছরখানেক আগে থেকেই হঠাৎ অতুলনীয় দৃশ্যমান সম্পদের রহস্য দেখতে পাই এলাকাবাসী, কয়েকমাস থেকে সচেতন মহলের মধ্যে চরম বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।
সুশৃঙ্খল সমাজের দাবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এসব ইয়াবা কারবারিদের অস্তিত্ব ও থাকবে না,
পাশাপাশি এসব ইয়াবা কারবারিদের এলাকায় তদন্ত করলে সঠিক বিষয়টি উঠে আসবে।
এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা শুঁটকি মাছ ব্যবসার আড়ালে ইয়াবার বড় চালান শহরের অলিগলি পৌঁছাই বলে ও খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে ও (বাবু) রামু থানায় ক্রিস্টাল মেদ আইস নিয়ে আটক হয়েছিলেন পরে তার চাচা শ্বশুর রোহিঙ্গা রহিম উল্লাহ অনেক চেষ্টায় রামু থানা থেকে বের করে নিয়ে আসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য এক সংবাদ কর্মী তার কাছে জিজ্ঞেস করার সাথে সাথেই তিনি হুমকি দিয়ে তার ভাই মইন্না (২৮)কে ডেকে বলল ওনি কি বলতে চাই দেখ।
তিনি আরো একটা বিষয় পরিষ্কার করে বলেন তোমার মত কত বড় বড় সাংবাদিক আমি পকেটে রাখি, এই হুংকার দেওয়ার সাথে সাথেই পিছন থেকে কিছু একটা বের করতে চেয়েছিলেন।
পরে পরিস্থিতি বুঝতে পেরে সংবাদ কর্মী ছুটে আসেন গন্তব্যে। এ বিষয়ে তার ব্ক্তব্য নিতে মুঠোফোনে ফোন দিলে সংযোগ দেয়া যায়নি।#
Leave a Reply