সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন
টেকনাফে সীমান্ত রক্ষী বিজিবি জওয়ানদের সাথে বন্দুক যুদ্ধে দুই মাদক কারবারী নিহত হয়েছে। এই সময় বিজিবির দুই সদস্য আহত হলেও ঘটনাস্থল হতে ৩লাখ ৬০হাজার ইয়াবা, দেশীয় অস্ত্র ও কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়দের দাবী নিহতরা মৌলভী পাড়ার বাসিন্দা।
৯মার্চ (মঙ্গলবার) দুপুরে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (বিজিবিএম,পিএসসি) চিত্ত বিনোদন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানান, রাত প্রথম প্রহরের দিকে নাজির পাড়া বিওপির বিশেষ একটি টহল দল আলুগোলার প্রজেক্ট পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার হতে মাদকের চালান আসার সংবাদ পেয়ে বিজিবির বিশেষ একটি টহল দল উক্ত এলাকায় কৌশলী অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর ৪/৫জন লোক কাঠের নৌকাযোগে বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করতে দেখে বিজিবি জওয়ানেরা তাদের চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করেন। এতে বিজিবির নায়েক মাজহারুল ইসলাম (৩৬), সিপাহী রোমন মিয়া (১৯) আহত হলে বিজিবিও জানমাল এবং সরকারী সম্পদ রক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পর মাদক কারবারীর দলের ৩সদস্য নাফনদীতে ঝাঁপ দিয়ে ওপারে পালিয়ে গেলে গোলাগুলি বন্ধ হয়। এরপর ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ৩লাখ ৬০হাজার পিস ইয়াবা, দেশীয় অস্ত্র ১টি, ধারালো কিরিচ ১টিসহ অজ্ঞাত গুলিবিদ্ধ আনুমানিক ৩৫ বছর এবং ২০বছর বয়সী ২জনের গুলিবিদ্ধ দেহ পাওয়া যায়। গুলিবিদ্ধ অজ্ঞাত দুই মাদক কারবারী ও আহত দুই বিজিবি সদস্যকে দ্রæত চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া যায়। সেখানে আহত বিজিবি সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং গুলিবিদ্ধদের মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত ডাক্তার। নিহতদের পোস্টমর্টেমের জন্য মৃতদেহ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ব্যাপারে তদন্ত স্বাপেক্ষে পৃথক মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে স্থানীয় স্থানীয়দের দাবী, নিহতরা মৌলভী পাড়ার মোঃ বাবুলের পুত্র মোঃ ইউনুস আলম (৩৫) এবং আবুল কালামের পুত্র মোঃ রুবেল (২০) বলে নিশ্চিত করেন।
Leave a Reply