শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০৮ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে চাকমা সম্প্রদায়ের জমি জবর দখল: সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা কারামুক্ত হয়ে মা বাবা’র কাছে ফিরলেন মজলুম ছাত্রনেতা শাহনেওয়াজ টেকনাফ থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে ১৩৮০ পিস ইয়াবা সহ গ্রেফতার-১ হোয়াইক্যং এর মিনাবাজারে টমটম গ্যারেজে আগুন: চনের গুদাম ও নোহাগাড়ী পুড়ে ছাই ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে প্রথম ধাপে ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার বিনা খরচে মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশিদের পড়ার সুবর্ণ সুযোগ টেকনাফের খারাংখালীতে ভাসুরের হাতে গৃহবধূ খুন উনছিপ্রাং বড় মাদরাসায় স্থানীয় সাংবাদিক ও গুনীজনদের সম্মানে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন উনছিপ্রাং এ ইসলামী আন্দোলনের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন
পাউবোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

পাউবোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

মৌলভীবাজারের ‘মনু নদীর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন কাশিমপুর পাম্প হাউস পুনর্বাসন’ প্রকল্পে পাম্প কেনায় ৩৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের একটি মামলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. আবু তালেবকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

আজ রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ তিন সপ্তাহের মধ্যে তাকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয়।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। তিনি বলেন, মামলায় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু তালেব আজ হাইকোর্টে হাজির হয়ে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন। আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে তিন সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়।

আজ আদালতে শুনানিতে আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন মিনহাজুজ্জামান লিটন। দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন যথাক্রমে এ কে এম ফজলুল হক এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা।

আলোচিত প্রকল্পের পাম্প কেনায় ৩৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা ক্ষতি করার অভিযোগে গত ২১ অক্টোবর হবিগঞ্জে মামলা করে দুদক। মামলায় পাউবোর প্রধান প্রকৌশলী চৌধুরী নজমুল আলম, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিগমা ইঞ্জিনিয়ারস লিমিটেডের এমডি প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, চেয়ারম্যান প্রকৌশলী সৈয়দ আরশেদ রেজা এবং জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী আব্দুস সালামসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রকৃত দামের চেয়ে বেশি দামে পাম্প কিনেছেন। দুদক অনুসন্ধানে ৮টি পাম্পের প্রকৃত মূল্য পাওয়া যায় ২০ কোটি ৪১ লাখ টাকা। অথচ বিল হিসেবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সরকার থেকে নিয়েছে ৫৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে কাশিমপুর পাম্প হাউস পুনর্বাসন প্রকল্পের জন্য প্রকৃত দামের চেয়ে বেশি দামে পাম্প কিনেছেন।

সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাটের ঘটনায় দুদকের করা মামলায় বলা হয়, আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে রাষ্ট্রীয় অর্থ লোপাট করে তারা দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design By Bangla Webs