রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন
ফ্রান্সে মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে বাংলাদেশে অবস্থিত ফ্রান্স দূতাবাসের অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সকালে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা।
বিক্ষোভ মিছিলে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা- ‘বিশ্বনবীর অপমান, সইবে নারে মুসলমান’, ‘ম্যাক্রোঁর চামড়া, তুলে নেব আমরা’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, মুসলমান জেগেছে’, ‘বয়কট বয়কট, ফ্রান্সের পণ্য বয়কট’, ‘ঘেরাও ঘেরাও ঘেরাও হবে, ফ্রান্সের দূতাবাস’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। মিছিলে নেতৃত্ব দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। দলের আমির সৈয়দ রেজাউল করীম গণমাধ্যমকে বলেন, তার এসব মন্তব্যের জন্য ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে মুসলমানদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে এবং বাংলাদেশ সরকারকে সংসদে প্রস্তাব এনে ফ্রান্সের নিন্দা করতে হবে।
আরও পড়ুন: মহানবীকে ব্যঙ্গ: ফ্রান্সের ওপর খেপেছেন যারা
এদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর ইসলামবিরোধী মনোভাবের কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোও ক্ষোভে ফুঁসছেন। ইতোমধ্যে, তুরস্ক, পাকিস্তান, কাতার, কুইয়েতসহ অন্যান্য মুসলিম দেশ ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন।
গত ১৬ অক্টোবর ফ্রান্সের একটি সড়কে শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটিকে হত্যা করেছিল এক তরুণ। কারণ, ওই শিক্ষক ক্লাসে মহানবীর কার্টুন দেখিয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। তখনই শিক্ষকের ওপর হামলাকারী আবদৌলখ নামের ওই তরুণ ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
এরপরই ইসলাম ধর্ম ও বিশ্বনবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)কে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন বন্ধ করা হবে না বলে সাফ জানান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এমনকি বিশ্বনবীকে নিয়ে একটি বিতর্কিত কার্টুন দেখানোর জেরে খুন হওয়া ফরাসি শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটিকে সম্মান জানাতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ম্যাক্রোঁ এ কথা বলেন। ইসলামিক বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। বলেন, এই বিচ্ছিন্নতাবাদ ফ্রান্সের মুসলমান সম্প্রদায়গুলোতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে
Leave a Reply