উখিয়া বালুখালী ৯ নং ক্যাম্পের একটি খুনি চক্রের অব্যাহত হুমকির মুখে পালিয়ে বেড়াচ্ছে রোহিঙ্গা দম্পতি!
নিজস্ব প্রতিবেদক::
উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিয়ের আসরে সন্ত্রাসী হামলায় ১ রোহিঙ্গা নিহত হওয়ার পর চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে কনে খালেদা বিবি ও তার স্বামী ইদ্রিস।
ক্যাম্পের একাধিক সূত্র জানায়,
ইদ্রিসের সাথে দীর্ঘ ৪ বছর পূর্বে সম্পর্ক হয়। এক পর্যায়ে তারা উভয়ের সম্মতিতে বিয়ের পিড়িতে বসে।
উক্ত বিয়ের ঘটনা কে কেন্দ্র করে গত ৪ ডিসেম্বর শনিবার রাতে বালুখালীর ৯ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এতে
বর ইদ্রিসের চাচা ও বালুখালী ক্যাম্পের বাসিন্দা আবু বক্করের পুত্র মোহাম্মদ বেলাল নিহত হয়। এছাড়া সংঘর্ষে বরের বাবা মো. ইউনুস, বরের চাচা মো. আইয়ুব,সিরাজুল ইসলাম, প্রতিবেশী শিশু মো. উমর সহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। আহতরা বর্তমানে
কক্সবাজার সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনার সাথে জড়িত খুনি চক্রের আনোয়ার ছাদেক ও হারেছ নামক ২ ব্যাক্তি কে আটক করে পুলিশ।
ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীরা বর ইদ্রিস ও কনে খালেদা কে হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে বলে জানান।
উল্লেখ্য যে, কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিয়ের আসরে সংঘর্ষে বর ইদ্রিসের চাচা নিহত হয়। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে নিহত মোহাম্মদ বেলাল (৪০) বর ইদ্রিসের চাচা ও বালুখালী ক্যাম্পের বাসিন্দা। হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মোঃ আরেফের ছেলে আনোয়ার ছাদেক,আব্দুররহমানের ছেলে হারেছ সহ দু’জনকে আটক করেছে এপিবিএন পুলিশ।
ঘটনায় আহতরা হলেন, বরের বাবা মো. ইউনুস (৪৫), বরের চাচা মো. আইয়ুব (৩৫), প্রতিবেশী ইয়াছিনের শিশুপুত্র মো. উমর (৯), মো. আইয়ুব (২৭), সিরাজুল ইসলাম (৩৫) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫জন আহত হয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ৮ এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার শিহাব কায়সার খান বলেন, শনিবার ওই রাতে বালুখালী পানবাজার পুলিশ ক্যাম্প-০৯ এর ব্লক সি/১৯ এলাকায় একটি বিয়ের আয়োজন চলে। এতে কনে খালেদা বিবির (১৬) পরিবারের সদস্যদের সাথে বর মো. ইদ্রিস এর পরিবারের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহত বরের চাচা মোহাম্মদ বেলালকে (৪০) এপিবিএন পুলিশ উদ্ধার করে তুর্কি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের মধ্যে মো. ইউনুছ, মো. উমর, মো. আইয়ুব ও মো. আব্দুর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে এপিবিএন পুলিশ আরও জানায়, বর মো. ইদ্রিসের সঙ্গে কনে খালেদা বিবির প্রেমের সম্পর্ক ছিল গত ৪ বছর ধরে। ঘটনার ৪ দিন আগে খালেদা ইদ্রিসের বাসায় চলে গেলে বরের পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। তবে এই বিয়ে মেনে নেয়নি কনে পক্ষ।
সূত্রে আরো জানা যায়, বরের বাড়িতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে কনে পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে রাত আনুমানিক ৮টার দিকে বর পক্ষের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এতেই এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
আটকৃত ২ জন কে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ৮ এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার শিহাব কায়সার খান।
এদিকে ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত মৌলভী মুজিব প্রকাশ মজিনা উভয়ে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত।
একজন কাপড়ের দোকানের আড়ালে অপরজন কসাই কাজের আড়ালে মাদক ও স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত বলে জানা গেছে। তাদের সাথে যোগ হয়েছে মোঃ আরেফ নামক আরেক ইয়াবা কারবারী।
ক্যাম্পের এই মাদক চক্র সন্ত্রাসীরা বর ইদ্রিস ও কনে খালেদা কে হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে বলে জানান। তারা ক্যাম্প প্রশাসনের এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ কামনা করেন।#
Leave a Reply