বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:২৭ অপরাহ্ন
জাতীয় দলের পাইপলাইনে নতুন খেলোয়াড় তেমন না থাকা থেকে শুরু করে নাইজেরিয়ান থেকে বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে যাওয়া এলিটা কিংসলের খেলার সম্ভাবনা নিয়ে কথা হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পেয়েছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপই; গত চার আসরের হিসেবে যেটি হতাশার এক গল্পই হয়ে আছে বাংলাদেশের জন্য।
সাফের ত্রয়োদশ আসরটি হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সেটি হবে মালদ্বীপে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে পাঁচ দল নিয়ে হবে আসরটি। ভুটান সরে দাঁড়ানোয় পাঁচ দল নিয়ে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে হবে খেলা। পয়েন্ট টেবিলের সেরা দুই দল উঠবে শিরোপার লড়াইয়ে।
২০০৩ সাফের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ ২০০৫ সালে হয়েছিল রানার্সআপ। এরপর থেকেই শুরু পেছনের দিকে ছুটে চলা। পরের চার আসরের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার বিষাদ হয়েছে সঙ্গী। মালদ্বীপের আসর সামনে রেখে আবারও নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে দল। বাফুফে প্রধানের সঙ্গে সোমবার মিটিংয়ের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কোচ জেমি অবশ্য অবিশ্বাস্য কোনো কিছুর আশা দেখাননি।
মালদ্বীপে যাওয়ার আগে তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। কিরগিজস্তানের জাতীয় দল ও অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিপক্ষে এবং ফিলিস্তিনের বিপক্ষে। ফিফার সবশেষ র্যাঙ্কিংয়ে কদিন আগে চার ধাপ পিছিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের (১৮৮তম) চেয়ে কিরগিজস্তান (১০১তম) ও ফিলিস্তিন (১০২তম) অনেক এগিয়ে। শক্তিশালী দল দুটির বিপক্ষেই আগে পরীক্ষায় বসতে উন্মুখ জেমি।
“কিরগিজস্তান, ফিলিস্তিনের বিপক্ষে খেলা কঠিন হবে। ওদের র্যাঙ্কিং ভালো বিনা কারণে হয়নি। ওদের ভালো খেলোয়াড় আছে বলেই সেটা সম্ভব হয়েছে। প্রস্তুতির দিক থেকে এটা আমাদের জন্য ভালো চ্যালেঞ্জ ও পরীক্ষা হবে। সত্যি কথা হলো, বাস্তবিক অবস্থান থেকে আমরা এই সব ম্যাচ জেতার আশা করতে পারি না। কিন্তু আমি ভালো পারফরম্যান্স চাই।
“আমরা হয়তো ভিন্ন পদ্ধতি ও কৌশল নিয়ে চেষ্টা করতে পারি। ভালো দলের বিপক্ষে খেলে এই পদ্ধতি আমরা সাফেও হয়তো ব্যবহার করতে পারব। কম সময়ের মধ্যে এই তিন ম্যাচে ছেলেদের সামর্থ্যের একটা পরীক্ষা হয়ে যাবে। তবে আমি মনে করি, সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে এটা ভালো একটি পরীক্ষা। যদি এই তিন ম্যাচের পারফরম্যান্স আমরা সাফে নিয়ে যেতে পারি, প্রতিযোগিতার জন্য আমাদের খুব ভালো প্রস্তুতি হবে।
Leave a Reply