শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
মালয়েশিয়ায় ৬টি পিস্তল সহ ইসরায়েলি নাগরিক আটক: দেশজুড়ে সতর্কতা জারি বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে সৌদি আরবের ১৪০ কোটি ডলার বিনিয়োগ ভুটানের রাজাকে সঙ্গে নিয়ে কেক কাটলেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ছিনতাইকালে ধরা পড়া দুই পুলিশ সদস্য রিমান্ডে! ২৮ মার্চ জেলা ইসলামী আন্দোলন ইফতার মাহফিল হোটেল অস্টারইকো তে। মিয়ানমারে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বিদ্রোহীরা প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে মোস্তাফিজ ও বাবুল মিয়ানমারের গ্যং স্টারের বাংলাদেশি সহযোগি হোয়াইক্যং এর দালালরা অধরায়! সাড়ে ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা টেকনাফে প্রবেশের অপেক্ষায়! হ্নীলা উম্মে সালমা মহিলা মাদরাসায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
সিএনজি চালক মাহমুদুল করিম হত্যার লোমহর্ষক বর্ননা দিলেন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী জাফর

সিএনজি চালক মাহমুদুল করিম হত্যার লোমহর্ষক বর্ননা দিলেন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী জাফর

সিএনজি চালক মাহমুদুল করিম হত্যার লোমহর্ষক বর্ননা দিলেন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী।

আজিজ উল্লাহ,বিশেষ প্রতিনিধি:
টেকনাফের বাহারছড়া উত্তর শিলখালী এলাকার সিএনজি চালক মাহমুদুল করিম হত্যায় জড়িত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অপহরণ চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামি হত্যার লোমহর্ষক হৃদয় বিদারক জবানবন্দি প্রদান করেন আদালতে।

সুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার( ২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরবেলা দীর্ঘ প্রায় দু’ঘন্টা ধরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজেস্ট্রিট আদালত টেকনাফ এর বিজ্ঞ বিচারক আসাদ উদ্দিন মো. আসিফরে কাছে অপহরণ করে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। এর আগে গত বুধবার ২১ সেপ্টেম্বর, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক নূর মোহাম্মদের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ বিশেষ সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাম্পে দায়িত্বরত
এপিবিএন পুলিশের সহায়তায় নয়াপাড়া রেজিস্টার ক্যাম্পের এইচ ব্লক থেকে মৃত ওমর হাকিমের পুত্র হাফেজ জাফর আলমকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে উত্তর শিলখালী এলাকার আলোচিত ছালেহ আহমেদের পুত্র মাহমুদুল করিম(৩৫) কে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, পরিবর্তিতে হত্যা করে লাশ গুম, অতঃপর ভিকটিমের কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় রুজুকৃত মামলার সন্দিগ্ধ আসামি ছিল সেই।

আদালতে, জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত আসামি মামলার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সত্যতা স্বীকার করে এবং অদ্য বিজ্ঞ আদালতে অন্যান্য সহযোগী আসামিদের নাম উল্লেখ করে,সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত টেকনাফ এর বিজ্ঞ বিচারক আসাদ উদ্দিন মো. আসিফের বিচারক কক্ষে হত্যাকাণ্ডের লোমহর্ষক স্বীকারোক্তি প্রদান করে। ধৃত আসামি আদালতে জবানবন্দিতে বলেন,” হোয়াইক্যাং থেকে সিএনজি যোগে আসার সময় মাহমুদুল করিমকে আটকানো হয়। পরে টেনেহিঁচড়ে গভীর জঙ্গলে নিয়ে যায় মুক্তিপণ চক্রের দল। প্রথমে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এরপর অমানবিক নির্যাতন শুরু করে মুক্তিপণ দাবি করে সন্ত্রাসীরা। প্রাণ ভিক্ষা চেয়ে বাড়িতে তাকে বাঁচানোর জন্য টাকা দিতে বলে স্ত্রীকে। দুদিনে বাড়ি থেকে বিকাশে দফায় দফায় ৫০ হাজার টাকা দেয়ার পর তার পরিবার আর টাকা দিতো পারেনি।একদিকে প্রচুর বৃষ্টি তাতে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের লিডার জুবায়ের ও বন্দুকধারী ইয়াসিন ক্ষেপে গিয়ে প্রচন্ড মেজাজে ভিক্টিমের শার্টের কলার ধরলে ভিক্টিম দু-হাত উঁচু অশ্রুসিক্ত চোখে কাঁদো কাঁদো গলায় বাঁচার আকুতি মিনতি করে প্রাণে না মারার জন্য ওআল্লাহ ওআল্লাহ বলে জোরে শব্দ করে চিল্লাচিল্লি করে। হঠাৎ ইয়াসিন তার বন্দুক তাক করে তার শরীরে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে রাগের মাথায় বুক বরাবর ফায়ার করে দেয়। এতে কয়েক বার ” অ বাপ অ বাপ বিকট শব্দ করে ঘুরেই মাটিতে পড়ে যায়! তারপর অল্প সময়ের মধ্যে মারা যায় ভিক্টিম। পরে জঙ্গলে লাশ পেলে চলে যায় তারা। সেই আরো বলে এই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী জুবায়ের- ইয়াসিন শামলাপুর ভাড়া বাসা নিয়ে থাকতেন এবং সময়ে সময়ে ঢালা থেকে এভাবেই মানুষ ধরে নিয়ে মুক্তিপণ আদায় করা তাদের পেশা ছিল বলেও তথ্য দেয় আসামি।”

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুন ২০২১ সালের হোয়াইক্যাং ঢালাতে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় চক্রের রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীর হাতে নিখোঁজ হয়ে গভীর পাহাড়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী জুবায়ের- ইয়াসিনের হাতে খুন হন মাহমুদুল করিম।
এর পরে শামলাপুর একটা ভাড়া বাসা থেকে হাতবোমা ও ছুরিসহ ইয়াসিনকে আটক করে এপিবিএন পুলিশের এএসআই আসাদুজ্জামান ইসলাম নয়ন।

এদিকে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর নুর মোহাম্মদ বলেন,” মাহমুদুল করিম হত্যাকান্ডে জড়িত প্রায় আসামি গ্রেফতার হয়েছে গ্রেফতারকৃদের তথ্যের ভিত্তিতে আরো দুয়েকজন নাম উঠে আসছে এবং জুবায়েরসহ অন্যদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design By Rana