বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৬ অপরাহ্ন
হোয়াইক্যং এ হাতপাও মুখ বাঁধা অবস্থায়
৬ বছরের শিশু আরিফ উদ্ধার। রহস্য উদঘাটনের দাবী এলাকাবাসীর।
নিজস্বপ্রতিবেদক :: অদ্য ২২ ডিসেম্বর আনুমানিক ৯ টায় টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পুলিশ ফাড়িঁর সংলগ্ন আমতলী চাকমাপাড়া গ্রামস্থ চিতাখোলা এলাকা মোহাম্মদ আরিফ (৬)পিতাঃসাইফুল গ্রামঃ আমতলী নামক ছয় বছরের শিশুকে বল খুঁজার প্রলোভন দিয়ে জঙ্গলে ভিতর পাহাড়ের পানি নিষ্কাশনের ড্রেনের ভিতরে হাত, পা, মুখ বেধে বুকের উপর ইট রেখে পালিয়ে যায়।এলাকাসূত্রে জানা যায়, সৈয়দ হোসেন নামক এক যুবক শিশু ফাহিম (০৬)কে দিয়ে লম্বাবিল বাজার হতে এক কষ্টেপ কিনে ঘটনা স্হলে নিয়ে আসে এবং কৌশলে শিশু ফাহিমকে তাড়িয়ে দিয়ে শিশু আরিফ (০৬)কে সৈয়দ হোসনে পরনের গেঞ্জি, লুঙ্গী ও কস্টিব দিয়ে হাত, পা ও মুখ বেঁধে পালিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে ভিকটিমকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য উক্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
অদ্য দুপুর বেলায় সৈয়দ আলম( ৪০)ও ইসমাইল(২৭) গ্রামঃ লম্বাবিল তেচ্ছিব্রীজ জঙ্গলে গাছ কাটতে যাওয়ার সময় শিশু আরিফকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পায়। তখন আশেপাশের লোকজনকে ডাক দেন স্থানীয়রা উদ্ধার করে শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করতে নিয়ে আসে। শিশুটির ভাষ্যমতে অপহরণকারী সৈয়দ হোসেন কে চিনতে পেরেছে। সৈয়দ হোসেন হোয়াইক্যং নয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাড়িঁতে বাবুর্চি হিসাবে চাকরি করে।সে আমতলীর ইউসুফ আলীর পুত্র।
সূত্রে আরো জানা যায়, মোঃ সৈয়দ হোসেন হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে বাবুর্চির চাকরির পাশাপাশি দীর্ঘদিন যাবত নানা অপকর্মের সাথে জড়িত। এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান শিশু আরিফের পরিবার। হোয়াইক্যং পুলিশের আইসি এসআই মুজিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে সৈয়দ হোসেনসহ দুইজনকে বিবাদী করে মামলার প্রক্রিয়া চলছে টেকনাফ মডেল থানায়।
Leave a Reply