শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
মালয়েশিয়ায় ৬টি পিস্তল সহ ইসরায়েলি নাগরিক আটক: দেশজুড়ে সতর্কতা জারি বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে সৌদি আরবের ১৪০ কোটি ডলার বিনিয়োগ ভুটানের রাজাকে সঙ্গে নিয়ে কেক কাটলেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ছিনতাইকালে ধরা পড়া দুই পুলিশ সদস্য রিমান্ডে! ২৮ মার্চ জেলা ইসলামী আন্দোলন ইফতার মাহফিল হোটেল অস্টারইকো তে। মিয়ানমারে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বিদ্রোহীরা প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে মোস্তাফিজ ও বাবুল মিয়ানমারের গ্যং স্টারের বাংলাদেশি সহযোগি হোয়াইক্যং এর দালালরা অধরায়! সাড়ে ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা টেকনাফে প্রবেশের অপেক্ষায়! হ্নীলা উম্মে সালমা মহিলা মাদরাসায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
অবশেষে সৌদিআরবে কফিল প্রথা বাতিল

অবশেষে সৌদিআরবে কফিল প্রথা বাতিল

বিতর্কিত কফিল প্রথা অবশেষে বাতিল ঘোষণা করেছে সৌদি আরব। দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে গত বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী বছরের ১৪ মার্চ থেকে ছোট মোয়াচ্ছাছা (কোম্পানি) শ্রমিকদের মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে নেওয়া হবে। তবে ওই আইন এখনও কেবল বেসরকারি কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।

সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, গৃহস্থালি কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকদের (গৃহকর্মী, গাড়িচালক) জন্য আলাদাভাবে চিন্তা করছে মন্ত্রণালয়। পরবর্তীতে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। গতকাল বুধবার দেশটির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ক একটি সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সুলাইমান বিন আবদুল আজিজ।

চুক্তি অনুযায়ী কার্যত বাতিল হচ্ছে কফিল প্রথা। ফলে এখন থেকে সৌদি আরবে কাজ করতে প্রবাসীদের আর কোনো কফিলের দ্বারস্থ হতে হবে না। নিজের মতো করেই কাজকর্ম করতে পারবেন তারা। ধারণা করা হচ্ছে, যেহেতু ছোট মোয়াচ্ছাছার শ্রমিকরা এখন থেকে সরাসরি মন্ত্রণালয়ের অধীনে থেকে কাজ করবে তাই তাদের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধাও বৃদ্ধি পাবে।

কফিল প্রথা হচ্ছে সৌদির কোনো নাগরিকের অধীনে থেকে তার নামে কাজ কিংবা ব্যবসা করা। এর বিনিময়ে ওই সৌদি নাগরিক মাসে মাসে একটা লভ্যাংশ নেন সেই প্রবাসীর কাছ থেকে। এ কারণে অনেক কপিল ও নিয়োগকর্তাই আইনের মারপ্যাঁচে প্রবাসীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন। এমনকি নানা নির্যাতনেরও শিকার হন। এসব অত্যাচার-নির্যাতনের কোনো সুবিচারও মেলে না। সবকিছু নীরবেই সহ্য করতে হয়। সবচেয়ে কঠিন অবস্থায় পড়েন গৃহস্থালি কাজে নিযুক্ত অভিবাসীরা। বর্তমানে কফিল পদ্ধতির অধীনে দেশটিতে লাখো বাংলাদেশিসহ এক কোটিরও বেশি বিদেশি শ্রমিক বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত আছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design By Rana